শারদীয়ার উপহার হিসেবে বিশ্বভারতীর উপাচার্য ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহ প্রায় ২৫ জনকে কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হলো ছেঁড়াফাটা জুতো। আর তাই নিয়েই শোরগোল এবার বিশ্বভারতী জুড়ে। তবে কে বা কারা এই ছেঁড়াফাটা জুতো উপহার দিল তা এখনও জানা যায়নি। এই ঘটনা নিয়ে সর্বত্র আলোচনা চলছে। দুর্গাপুজোর শেষে এই ঘটনায় নতুন করে চর্চায় বিশ্বভারতী।

বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ও বিতর্ক, যেন একই কয়েনের দুটি পিঠ। কখনও রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ, আবার কখনও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে জমি জট নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য, সংবাদমাধ্যমে চর্চায় থেকেছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারির সুর শোনা গিয়েছে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের গলায়। তাঁর একাধিক মন্তব্যের জন্য শাসকদলের নেতানেত্রীদের আক্রমণের মুখে পড়েন উপচার্য। এবার দানা বাঁধল নতুন বিতর্ক।

বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে নিয়ে নয়া বিতর্ক

বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ও তাঁর ঘনিষ্ঠসহ প্রায় ২৫ জনের বাড়িতে শারদীয়ার উপহার হিসেবে কুরিয়ারে পাঠানো হল ছেঁড়াফাটা জুতো। যে জুতোর ওপরে লেখা ‘পুজোর উপহার’। তবে এই ২৫ জনের বাড়িতে গিয়ে একই দিনে কুরিয়ার পৌঁছেছে তা কিন্তু নয়। কারও বাড়িতে পৌঁছেছে পঞ্চমীতে আবার কারও বাড়িতে পৌঁছেছে দ্বাদশীতে অথবা ত্রয়োদশীতে। মূলত এক সপ্তাহ ধরেই উপাচার্য ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে আসছে এই বিশেষ উপহার। তবে কে বা কারা এবং কেনই বা কুরিয়ারের মাধ্যমে এই জুতো পাঠিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।

ফলকে রবীন্দ্রনাথ বাদ কেন, দেখবে রাজভবন
বিশ্বভারতীতে ফলক বিতর্ক

বিশ্বভারতীকে সম্প্রতি হেরিটেজ ঘোষণা করেছে UNESCO। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সম্প্রতি বসানো হয়েছে বিশেষ ফলকও। কিন্তু সেই ফলকে নাম নেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরে। যাঁর হাত ধরে বিশ্বভারতী তৈরি হয়েছে, ফলকে তাঁর নাম না থাকায় তৈরি হয় তুমুল বিতর্ক। বিশ্বভারতীর উপাচার্যের কাছে এই নিয়ে জবাব তলব করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বিশ্বভারতীর অধ্যাপকদের সংগঠনের তরফে আচার্য ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লেখা হয়েছে।

রবীন্দ্রনাথের নাম থাকায় হুঁশিয়ারি মমতার

ফলকে রবীন্দ্রনাথের নাম না থাকায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরভূমে দলের কর্মীদের আন্দোলনে নামার নির্দেশ দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পর শান্তিনিকেতনে অবস্থান-বিক্ষোবে বসেন তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। শুক্রবার সকাল দশটার সময় অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন তাঁরা। মূলত বিশ্বভারতী তরফে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম না থাকা যে ফলক বসানো হয়েছে সেই ফলক সড়াতে হবে এই দাবি তুলেই অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন তারা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version