রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারির পর ইডির নজরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কন্যা প্রিয়দর্শনীও। এই ইস্যুতে নিশানা সাধলেন BJP সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সোমবার ইকো পার্কে প্রার্তভ্রমণে এসে একাধিক ইস্যুতে শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হন গেরুয়া শিবিরের এই নেতা।

২০ ঘণ্টা ইডি-এর ম্যারাথন তল্লাশির শেষে দ্বাদশীর গভীর রাতে রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হন বর্তমান বনমন্ত্রী ও প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই কেসে মন্ত্রী কন্যা প্রিয়দর্শিনী ও তাঁর স্ত্রী মণিদীপাকেও অ্যাটাচ করেছে। তাদের সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ইডি স্ক্যানারে ইতিমধ্যেই প্রিয়দর্শিনী মল্লিক। রবিবার তিনি ইডির ডাকে হাজিরাও দেন। রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে জ্যোতিপ্রিয় এবং তাঁর পরিবারের সদস্যের নামে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেআইনি লেনদেন হয়েছে বলে দাবি ইডির।

এই প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের কথা টেনে এনেছেন দিলীপ ঘোষ। গোরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত কন্যা সুকন্যাও ইডির হাতে গ্রেফতার। এই মুহূর্তে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গেই তিহার জেলে বন্দি রয়েছেন। BJP নেতা বলেন, ‘কেষ্ট গ্রেফতার হওয়ার পরে তার মেয়েরও একই গতি হয়েছে। এরা নিজের পরিবারকে কী ভাবে এসবের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়। এরা সবাই সুবিধাভোগী। সরকারি পদ টাকা কোথা থেকে আসে? কেষ্ট মণ্ডলের মেয়েকেও প্রাইমারি স্কুলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেও স্কুলে না গিয়ে বেতন পেত। এখানেও তাই হয়েছে। মানুষের সামনে এগুলো প্রকাশ পাওয়া দরকার আছে, তাহলে আগামী দিনে কেউ এরকম করবে না।’

Sujit Bose:’নিতাইকে আমার নাম বলতে চাপ দিচ্ছে ED’, বিস্ফোরক সুজিত বসু
এখানেই শেষ নয়, পুর নিয়োগ দুর্নীতিতেও ইডির আতসকাচে উত্তর ২৪ পরগনার পুরসভার একাধিক চেয়ারম্যান। সেই প্রসঙ্গেও শাসকদলকে নিশানা করে দিলীপ বলেন, ‘যারা পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন তাদেরকে ডেকেছে। বাকিরা ভয়ে ভয়ে রয়েছে। তাদের অবস্থাও বালুর মতো যেন না হয়। এই সার্বিক দুর্নীতি যা বছর বছর ধরে চলছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদে এটা হয়েছে। নয়তো এতটা বাড়বাড়ন্ত হতে পারে না। শিকড়-বাকড় কোথায় ছড়িয়ে গেছে এই দুর্নীতির। গোটা বিষয়টিকে দুর্নীতিমুক্ত করতে ইডি সিবিআই-এর বহুবছর লেগে যাবে কিন্তু মাথাগুলো যেন ছাড়া না পায়।’

‘রাস্তা আটকাচ্ছেন কেন’? বালু-কন্যা প্রিয়দর্শিনী

বিশ্বভারতী উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর চিঠি প্রসঙ্গেও মুখ্যমন্ত্রীকেই আক্রমণ BJP সাংসদের। তিনি বলেন,’এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাওনা। তিনি যে অপকীর্তি করেছেন, তার দায় তো তাকে নিতে হবে। বারবার শান্তিনিকেতনের উপাচার্যকে আক্রমণ করে রাজনীতি করেন, তারও অধিকার আছে বলার। তাঁর মুখের সামনে আয়না তুলে ধরেছেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version