কয়েকটি বারোয়ারিকে গ্রিন করিডোর
পুলিশ সূত্রে খবর, বিশেষ কিছু বারোয়ারি পুজো কমিটির ভাসানের জন্য ওই গ্রিন করিডোর করা হবে। মূলত, ত্রিস্তরীয় পুলিশি প্রহরা এবং বাড়তি পুলিশি নিরাপত্তায় মধ্যে দিয়ে হবে শোভাযাত্রা ও প্রতিমা বিসর্জন। একইসঙ্গে এই বছর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শোভাযাত্রা এবং ভাসান পর্ব শেষ করারও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, গত শনিবারই এই বিষয়ে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানে প্রত্যেক বারোয়ারির জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
যা জানাচ্ছে পুলিশ…
এই বিষয়ে ডিএসপি অমিতাভ কোনার সংবাদমাধ্যমে জানান, বারোয়ারি পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শোভাযাত্রা এবং ভাসান পর্ব শেষ করাই লক্ষ্য। আর সেই কারণেই, কিছু পুজো কমিটির প্রতিমা ভাসানের প্রক্রিয়া গ্রিন করিডোরের মধ্যে দিয়ে করা হবে। সার্বিকভাবে সুস্থ, নির্বিঘ্ন পুজো উপহার দেওয়াই পুলিশ ও প্রশাসনের লক্ষ্য বলে জানান তিনি। তার জন্য সবরকমের প্রস্তুতি থাকছে বলে জানান ডিএসপি। পাশাপাশি এই বিষয়ে এক পুজো উদ্যোক্তা একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে জানান, প্রতি বছর সন্ধ্যা থেকেই প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়। তবে গতবছর খুবই দেরি হয়েছিল। তাই এই বছর যে সময় দেওয়া হয়েছে তার মধ্যেই শোভাযাত্রা ও ভাসান প্রক্রিয়া শেষ করে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, চন্দননগর এবং কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর খ্যাতি জগৎজোড়া। দুর্গাপুজো শেষ হলেই এই দুই শহরে জগদ্ধাত্রী পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে যায়। কোথায় সাবেকিয়ানা, তো কোথায় থিম, মিলেমিশে চলতে থাকে পুজোর প্রস্তুতি। আবার দুই শহরের মধ্যেই চলতে থাকে একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার এক অঘোষিত লড়াই। অন্যদিকে আবার পুজোয় যাতে কোনওরকম বিশৃঙ্খলা বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, তার জন্য অতন্দ্র প্রহরা থাকে পুলিশ প্রশাসনের। বাড়তি পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয় দুই শহরেই। বিশেষত বিসর্জনের দিন অতিরিক্ত সতর্ক থাকে প্রশাসন। আর সেই শোভাযাত্রা ও বিসর্জন যাতে নির্বিঘ্নে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা যায়, সেই কারণেই এবার গ্রিন করিডোরের সিদ্ধান্ত পুলিশ প্রশাসনের।