সামনেই আলোর উৎসব। কালীপুজোর অপেক্ষায় দিন গুনছে বাঙালি। বাতাসে এখন হালকা শীতের আমেজ। রাতে তাপমাত্রা সামান্য নামলেও হাওয়া অফিসের মতে বঙ্গে এখনই শীত পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। শীত সেভাবে না পড়লেও ইতিমধ্যে রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে পর্যটকদের ইতিউতি আনাগোনা শুরু হয়েছে। সেই তালিকায় বাদ যায়নি হাওড়া জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলিও।

পুজোর ছুটির পর স্কুল, কলেজ, অফিস আদালত খুলে গেলেও শনিবার ও রবিবার জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক পর্যটকরা। আর শীত শীত অনুভূত হতেই এবার পর্যটকদের জন্য বিরাট সুখবর। হাওড়া জেলার আরও কয়েকটি পর্যটনকেন্দ্রকে নতুন করে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উদ্যোগী হয়েছে হাওড়া জেলা পরিষদ।

হাওড়া জেলা পরিষদের অভিনব উদ্যোগ

হাওড়া জেলার একাধিক পর্যটনকেন্দ্রকে সাজানো হবে নয়া রূপে। হাওড়া জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, এই পর্যটনকেন্দ্রগুলির মধ্যে রয়েছে বাগনান বিধানসভার পানিত্রাসে শিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বসত বাড়ি ‘অমর কথা’ সংলগ্ন এলাকা। রয়েছে উদয়নারায়ণপুর বিধানসভার গড়ভবানীপুরে রানি ভবশঙ্করী স্মৃতি পর্যটন কেন্দ্র এবং বাগানের খালোড় কালীবাড়ি সংলগ্ন এলাকা।

Murshidabad Tourist Places: এবার জলপথে কলকাতা টু মুর্শিদাবাদ ভ্রমণের সুযোগ, ভিড় জমাচ্ছেন বিদেশি পর্যটকেরা
জেলা পরিষদের এই উদ্যোগের ফলে আগামী দিনে পর্যটকদের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। নতুন পর্যটন কেন্দ্র সাজানো প্রসঙ্গে হাওড়া জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধক্ষ্য মানস বসু বলেন, ‘ইতিমধ্যে এই তিনটি পর্যটন কেন্দ্রকে সাজানোর জন্য DPR তৈরি করে রাজ্য পর্যটন দফতরে পাঠানো হয়েছে। এইসব পর্যটন কেন্দ্র ছাড়াও আরও একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে। উদয়নারায়ণপুর বিধানসভার বড়দা, জগৎবল্লভপুর বিধানসভার গোহালপোতা, ডোমজুড় বিধানসভার হাওড়া আমতা রেল লাইনের ডাঁশি ষ্টেশন সংলগ্ন এলাকা সহ আরও কয়েকটি এলাকা সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, আমরা খুব দ্রুত এই কাজ শেষ করতে পারব।’

খুশি সাধারণ মানুষ

জেলা পরিষদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, গাদিয়াড়ার (Gadiara Tour) মতো হাওড়ায় আরও পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠলে পর্যটনের প্রসারের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। বাগনানের বাসিন্দা কিশোর দত্ত বলেন, ‘জেলা পরিষেদর এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে সাধুবাদ জানানোর যোগ্য। একদিকে যেমন হাওড়াতে আরও বেশি করে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে, তেমনই নয়া পর্যটনকেন্দ্র তৈরি হলে সেই এলাকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হবে। রাজ্যে কর্মসংস্থান বাড়লে অনেকগুলি সংসার খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version