আলোর শহর চন্দননগরের পাশাপাশি উৎসবে মেতে উঠবে রিষড়া। সেই পুজো নিয়েই নানান ভাবনা যেমন থাকে পুজো কমিটিগুলোর তেমনই প্রশাসনের তৎপরতাও থাকে। পুজো করার জন্য প্রশাসনের কিছু বিধি থাকে, সেগুলি যেমন জানিয়ে দেওয়া হয় তেমনই কী করণীয়, আর কী করা যাবে না, সেগুলি নিয়েও আলোচনা হয় রিষড়া রবীন্দ্রভবনে। রিষড়া এলাকায় মোট ১১৭টি পুজো হয়। তার মধ্যে শোভাযাত্রায় অংশ নেবে ২৮টি পুজো কমিটি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রিষড়ার পুরপ্রধান বিজয় সাগর মিশ্র, চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি-সহ পুলিশ প্রশাসদ, বিদ্যুৎ দফতর, রেল ও পুরসভার প্রতিনিধিরা।
বাড়তি সময় চলবে ফেরি
রিষড়া পুরপ্রধান বিজয় সাগর মিশ্র জানান,পুজোর আগে সব রাস্তা মেরামতের কাজ শেষ হবে। সিসিটিভিতে নজরদারীর জন্য চালু করা হবে কন্ট্রোল রুমও। বিসর্জনে প্রশিক্ষিত মুটেরা থাকবে। এছাড়া পুজোর সময় রিষড়ায় বাড়তি ফেরি পরিষেবারও দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে ২১, ২২, ২৩ ও ২৪ নভেম্বর ভোর ৫টা থেকে রাত্রি ১২ পর্যন্ত মিলবে ফেরি পরিষেবা। বিজয় সাগর মিশ্র আরও জানান, এবারে জগদ্ধাত্রী শোভাযাত্রার রুট বাড়ানো হচ্ছে। করা হচ্ছে ওয়ান ওয়ে। একইসঙ্গে যাতে রিষড়া শহরের প্রায় প্রতিটি রাস্তাতেই শোভাযাত্রা দেখা যায়, তারও ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান পুরপ্রধান।
ইভ টিজিং রুখতে ব্যবস্থা
চন্দননগর পুলিশ কমিশনার বলেন,পুজোর দিনগুলিতে মানুষ যাতে নিরাপদে ঠাকুর দেখতে পারে তার জন্য সবরকম আলোচনা হয়েছে সমন্বয় বৈঠকে। এবার পুলিশের বাড়তি নজরদারী থাকবে। সাদা পোশাকের পুলিশের টিমের পাশাপাশি অ্যান্টি ক্রাইম টিম থাকবে, যারা ইভটিজিং রুখবে। এছাড়াও ড্রোনের নজরদারী থাকবে। রাস্তায় ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। ট্রাফিকে যাতে সমস্যা না হয়, তাও দেখা হবে।
প্রসঙ্গত, জগদ্ধাত্রী পুজোকে কেন্দ্র করে চন্দননগরের পর হুগলি জেলার এই রিষড়া শহরে বরাবরই আবেগ থাকে তুঙ্গে। এবারেও তার ব্যতিক্রম নেই। আর তাই আগেভাগেই কোমর বেঁধে প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে পুলিশ-প্রশাসন।