রাজ্যজুড়ে আলোর রোশনাই। কালীপুজোয় মেতেছে বাঙালি। সঙ্গে পালিত হচ্ছে দীপাবলিও। রাজ্য সরকারি কর্মীদের বিভিন্ন ভাষায় কালীপুজোর শুভেচ্ছা পাঠিয়েছে সরকার। তাঁদের ফোন গিয়েছে সেই বার্তা। আর তা পেয়ে খুশি রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। কিন্তু, সরকারি কর্মীদের একাংশের মধ্যেই দেখা গেল অসন্তোষের ক্ষোভ। এই নিয়ে DA আন্দোলনকারীদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে।

রাজ্য সরকারি কর্মীদের পরিবারের মতো বলেই বার্তা দিকে শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। চলতি অর্থবর্ষে রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA তিন শতাংশ বৃদ্ধির কথা ঘোষণাও করা হয়েছে। কিন্তু, কেন্দ্রীয় হারে DA-র দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে যাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি তৈরি হয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চও।

সরকারের এই বিভিন্ন ভাষায় শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো নিয়ে তোপ দেগেছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের একাংশ। এই প্রসঙ্গে DA আন্দোলনকারীদের একাংশের আস্ফালন, “৫টি ভাষায় শুভেচ্ছা বার্তা সরকারি কর্মচারীদের। এই অর্থ কোথা থেকে আসছে যখন সরকারের কাছে টাকা নেই?” পাশাপাশি নিশানা করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকেও।

বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন BJP-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যও। তিনি বলেন, “এই সরকার খেলা-মেলা-মোচ্ছব নিয়েই থাকে। এদের কাছে DA-র প্রত্যাশা করাই উচিত নয়। এদের কাছে মানবিকতা নেই। অনুদান নির্ভর রাজনীতি চলছে। মানুষ এর জবাব দেবে।”

WB DA News Today : উত্তরপ্রদেশে কেন্দ্রীয় হারে DA-র ‘দীপাবলি উপহার’, রাজ্যকে তুলোধোনা শুভেন্দুর
উল্লেখ্য, DA প্রসঙ্গে অবশ্য কেন্দ্রকেই নিশানা করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভ্যুঁইয়া। তিনি কেন্দ্রকে তোপ দেগে বলেন, “কেন্দ্র রাজ্যের বকেয়া টাকা আটকে রেখেছে। বিপুল টাকা আটকে পড়ে আছে। আগে সেই টাকা মেটাক কেন্দ্র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানবিক দৃষ্টি দিয়ে সরকারি কর্মীদের বিষয়টি দেখছেন।”

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। আইনি লড়াইও লড়েছেন তাঁরা। স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালে জয়ী হন সরকারি কর্মীরা। এরপর মামলা গড়িয়েছিল হাইকোর্টে। গত বছর কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন মিটিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই আবেদন পুনর্বিবেচনা করে দেখার আর্জি জানিয়ে ফের ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য। যদিও তা খারিজ হয়ে যায়।

আপাতত এই মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। নতুন বছরে মামলার শুনানির জন্য তারিখ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত সুপ্রিম নির্দেশের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version