পেশায় শিক্ষক, রবীন্দ্র পরিষদের অন্যতম প্রতীক জানা জানান, ‘বর্তমান সময়ে বৃক্ষ ছেদনের কারণে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে পড়ছে। সংস্থার পক্ষ থেকে আমরা বৃক্ষ নিধন বন্ধ করা ও বৃক্ষ রোপণের কাজ করে চলেছি। সমাজের মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করে চলেছি। শিশু মন থেকে গাছকে আপন করার লক্ষ্যে বিশেষ দিনে এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। গাছে ফোঁটা দিয়ে মেয়েরা সমাজের কাছে বার্তা তুলে ধরে।’
প্রজিতা ও প্রচেতা বলেন, ‘পড়াশোনার মাঝে আমাদের সমাজের কথা ভাবা উচিত। তাই আজ বিশেষ দিনে আমরা দুজনে প্রকৃতির প্রাচীন গাছ বট গাছে ফোঁটা দিয়ে দিনটি উদযাপন করি। ভাই বোনের সম্পর্কে মতো সমাজের গাছপালাকে আপন করে তাদের বাঁচতে সাহায্য করতে হবে।’
প্রজিতা ও প্রচেতার এই ধরনের কাজে বেজায় খুশি গাছ প্রেমী দেবাশিস মাইতি৷ তিনি বলেন, ‘প্রজিতা ও প্রচেতার মতো সমাজের মানুষ যদি সমাজের কথা ভাবতো তাহলে আমাদের সমাজ আরও সুন্দর হয়ে উঠুত।’
এরকমই অভিনব ভাইফোঁটার সাক্ষী থাকল বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের সিমুলিয়া দশরথবাটি। আজকের এই বিশেষ দিনে যেখানে ভাই, দাদাদের কপালে ফোঁটা দিয়ে বোনেরা তাদের দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা করে। ভাই কিংবা দাদা বোনকে দেয় নিরাপত্তার আশ্বাস। তেমনি আজকের বিশেষ দিনের, বিশেষ শুভ লগ্নে গাছকে রক্ষার বার্তা দিলেন বাঁকুড়ারও দুই বোন। সিমুলিয়া দশরথবাটি এলাকায় ভাইফোঁটা পালন হল, তবে ভাই কিংবা দাদার কপালে নয়, গাছেদের ফোঁটা দিয়ে সমাজ সচেতনতার বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দিল দুই বোন। গাছেদের দীর্ঘায়ু কামনা করে আর ফোঁটা দিয়ে পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিল দুই বোন। গাছেদের বাঁচাতে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান দুই বোনের। পরিবেশ সম্পর্কে দুই বোনের এই সচেতনতা দেখে মুগ্ধ এলাকার পরিবেশ প্রেমীরা।