বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। আর তা শক্তি বাড়িয়ে পরিণত হতে চলেছে ঘূর্ণিঝড়ে। আর এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিধিলি’। শুক্রবার থেকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টি হতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশ কুমার দাস জানিয়েছেন, উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে রয়েছে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির ঠিক কী প্রভাব পড়তে চলেছে বাংলার উপর?
  • মিধিলির প্রভাব কোন কোন জেলায় পড়বে সবথেকে বেশি?

বৃহস্পতি, শুক্রবার ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। এরমধ্যে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা। অন্যান্য জেলাগুলি যেমন পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়াতে হতে পারে বৃষ্টি। এছাড়াও ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবার সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে সেভাবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই।

>গভীর নিম্নচাপটি এই মুহূর্ত উত্তর এবং উত্তর-পূর্বদিকে অবস্থান করছে। দিঘা থেকে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পশ্চিমে ৪৬০ কিলোমিটার দূরে তা অবস্থান করছে। আগামীতে তা হয়তো সাইক্লোনের রূপ নিয়ে পারে। সম্ভাবনা রয়েছে তা বাংলাদেশের খেপুপাড়া এবং মোংলা হয়ে পার করতে পারে ১৮ তারিখ ভোরের দিকে।

> শুক্রবার উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে ভারী বৃষ্টির পূূর্বাভাস এবং ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার।
> মৎস্যজীবীদের ১৬ থেকে ১৮ তারিখের মধ্যে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
> কলকাতাতে সন্ধ্যায় হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে। শুক্রবার বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা শহরে নেই।

Rain Forecast in Kolkata : ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া, সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি! ইডেনমুখী হওয়ার আগে জানুন ওয়েদার আপডেট

  • নবান্নের তরফে জারি করা হয়েছে সতর্কতা

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই তিনটি উপকূলবর্তী জেলা- উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরকে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপাশি মিধিলি মোকাবিলায় যাতে প্রশাসনের তরফে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেই বিষয়েও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

  • ফসলের ক্ষতি রোখার জন্য পরামর্শ

> নিম্নচাপের জন্য যাতে ফসলের কোনও ক্ষতি না হয় সেই জন্য দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় তাড়াতাড়ি ধান কেটে নেওয়ার পরামর্শ আগেই দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে কৃষি বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, অনেক জায়গায় ধান কেটে ঘরে তোলার মতো পুষ্ট এখনও হয়নি।

সেখানে ধান কাটার মতো পুষ্ট হওয়ার জন্য আরও বেশ কিছুটা সময় লাগবে, এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যদি কোনওভাব ধান ভিজে যায় সেক্ষেত্রে ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে কড়া রোদে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version