শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায় ও অর্ণবাংশু নিয়োগী: রাজ্যে ছট পুজোয় ২ দিন ছুটি ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিবার যেমন করেন, এবছরও পুজো দিলেন কলকাতার দইঘাটে। গেলেন তক্তা ঘাটে।
আরও পড়ুন: Chhath Puja: নিরাপত্তার নিশ্ছিদ্র ঘেরাটোপ, ছটে ‘সিলড’ রবীন্দ্র সরোবর!
প্রথমে তক্তঘাট, তারপর দইঘাট। কলকাতা ছটপুজোর অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী। তক্তাঘাটে তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক মা-বোন আছে, যাঁরা ৩৬ ঘণ্টা উপোস করে, তারপর এই পুজো করে। আমিও খেয়ে আসিনি। আমার নামেও গঙ্গা সাগরে পুজো হয়। যে দেশে গঙ্গা বয়ে যায়, সেই দেশ পবিত্র দেশ। আমাদের রাজ্য়ে গঙ্গা আছে। আমি গঙ্গাকে প্রণাম করি’।
শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ছট পুজো। চলবে সোমবার পর্যন্ত। শহর ও রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্তে গঙ্গার ঘাটে চলছে পুজোপাঠ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যখন গঙ্গার ঘাটে যাবেন, আস্তে আস্তে যাবেন। আস্তে আস্তে পুজো করে, আস্তে আস্তে ফিরে আসবেন। গঙ্গার ঘাটে বাচ্চাদের নিয়ে যাবেন না, সামলে রাখবেন। আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা সারারাত থাকবে। যতক্ষণ না সকালে পুজো শেষ হবে, যতক্ষণ না আপনারা ঘরে না ফিরবেন। পুলিস প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকরা আপনাদের খেয়াল রাখবেন। নিশ্চিন্তে পুজো করুন’।
পরবর্তী গন্তব্য ছিল দইঘাট। সেখানে গিয়ে পুজো দেন মুখ্যমন্ত্রী। অঞ্জলি দেন, প্রদীপ নিয়ে আরতি করেন। মমতা বলেন, ‘রাম পেয়ারে রামের কথা মনে পড়ছে। প্রতিবছর দইঘাটে দেখা হত। আমাদের সাথে থাকত। আমাদের পুরনো সহযোদ্ধা। জীবনের পুরোটাই আমাদের দলকে দিয়েছেন। পরিবারকে আমাদের শোক জানাচ্ছি’।
বন্দর এলাকায় তৃণমূল নেতা ছিলেন রাম পেয়ারে রাম। ১২ নভেম্বর কালীপুজোর দিনে প্রয়াত হন তিনি। খন আসনটির নাম ছিল কবিতীর্থ। ১৯৭১ কংগ্রেসের টিকিটে প্রথমবার বিধায়ক নির্বাচিত হন রাম। এরপর ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০০৬ সাল পর্যন্ত জিতেছিলেন টানা পাঁচবার। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। স্রেফ বিধায়ক নন, কলকাতার পুরসভার কাউন্সিলরও ছিলেন বহু বছর।
আরও পড়ুন: JU: বড় পর্দায় বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখার অনুমতি, যাদবপুরে পড়য়াদের সই করতে হল মুচলেকায়
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)