নেতাজি স্পোর্টিং ক্লাবের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ সুব্রত বক্সি, সাংসদ মালা রায়, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল সহ অন্যান্যরা। ছটে অনুষ্ঠানে গিয়ে স্মৃতিচারণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, ‘২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নেতাজি স্পোর্টিং ক্লাবের ছট পুজোর এই অনুষ্ঠানে আসছি। এবারও এসে খুব ভালো লাগছে।’
ছট পুজোর দিন মমতার উপোস
মুখ্যমন্ত্রীকে সব ধর্মের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। দুর্গাপুজো-কালীপুজো উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে মমতার মুখে মন্ত্রপাঠ শুনতেও অভ্যস্ত রাজ্যবাসী। ছট পুজোতেও যে মমতা উপোস করেন, একথা হয়তো অনেকেরই জানা ছিল না। এদিন নেতাজি স্পোর্টিং ক্লাবের অনুষ্ঠানে সেই নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বলেন, ‘এটা খুবই পবিত্র পুজো। ছট পুজোয় সূর্যদেবতা ও গঙ্গামায়ের পুজো হয়। আমাদের অনেক মা-বোন ছট পুজো উদযাপনে ৩৬ ঘণ্টা উপবাস করেন। তাঁদের সঙ্গে দেওয়ার জন্য এদিন আমি উপোস করে থাকি। কিচ্ছু খাই না। আমার নামে গঙ্গাসাগরে পুজো দেওয়া হয়। এই পুজোয় আপনাদের আমি শুভেচ্ছা জানাই।’ এদিনের অনুষ্ঠানে সূর্যমন্ত্র জপ করতে শোনা যায় মমতাকে।
দুর্ঘটনা নিয়ে সতর্কবার্তা মমতার
ছট পুজো উপলক্ষে বিভিন্ন ঘাটে ঘাটে উপচে পড়ে পুর্ণার্থীদের ভিড়। জন সমাগমের চাপে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও থাকে। সেই নিয়ে সতর্কবার্তা শোনা গিয়েছে মমতার গলায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই পুজোর দিন গঙ্গার ঘাটগুলিতে মানুষের ভিড় হয়। আমি বলব আপনারা আস্তে আস্তে যান, এবং পুজো করে ফিরে আসুন। গঙ্গাতে বাচ্চাদের নিতে পুজো করতে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তাদের সামলে রাখুন। আমাদের ভলান্টিয়াররা সারা রাত থাকবে। পুজো শেষ না হওয়া অবধি পুলিশ-প্রশাসনও গোটা রাজ্য জুড়ে আপনাদের খেয়াল রাখবে। আপনার ছট পুজোয় যে ঠেকুয়া তৈরি করেন, তার জন্য আমিও সারা বছর অপেক্ষায় থাকি। আমি যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন আপনাদের কাছে আসব। ছট পুজোর দিন আমাদের সরকার দু’দিন ছুটি দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ছুটি দেয় না। কিন্তু আমাদের সরকার সব পুজোয় ছুটি দেয়।’