এই সময়: রাজ্যের সমস্ত স্কুলকে উত্‍সশ্রী পোর্টালে যথাযথ শূন্যপদ আপলোড করতে বিজ্ঞপ্তি জারি করল স্কুলশিক্ষা বিভাগ। এই নির্দেশিকা ঘিরে সহকারী ও প্রধান শিক্ষকরা চরম বিভ্রান্ত। তাঁদের বক্তব্য, উচ্চ প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশন, মধ্যশিক্ষা এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পরামর্শ ক্রমে স্কুল শিক্ষা দপ্তর অনির্দিষ্ট কালের জন্য উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে স্কুলে-স্কুলে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী বদলির বিষয়টি বন্ধ করে দিয়েছিল। এখন উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের জন্য কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া চলছে। চূড়ান্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া নির্ভর করছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয়কুমারের উপর।

আবার শূন্যপদ আপডেট করে নিয়োগের দাবিতে ইন্টারভিউতে ডাক না পাওয়া উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে পাঁচশো দিনের বেশি অবস্থানে বসে রয়েছেন। সেইসঙ্গে চলতি কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া বাতিলের দাবিতে ইন্টারভিউয়ে ডাক না পাওয়া ৩৫ জন প্রার্থী সুপ্রিম কোর্টে মামলাও দায়ের করেছেন।

এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, স্কুল শিক্ষা দপ্তর কী আবার উৎসশ্রীর মাধ্যমে বদলি প্রক্রিয়া চালু করতে চাইছে, নাকি ঠিক কত শিক্ষক পদ শূন্য সেই হিসেব তৈরি করতে চাইছে? শুধু তাই নয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হতে বড়জোর দু-আড়াই মাস বাকি থাকায় সব মিলিয়ে বিভ্রান্তি চরমে উঠেছে। যদিও স্কুল শিক্ষা দপ্তর ও কমিশনারেটের কর্তারাও এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি।

তবে উপ অধিকর্তার বিজ্ঞপ্তিতে লেখা রয়েছে, উৎসশ্রী পোর্টালটি যখন চালু হবে তখনই শূন্যপদ আপলোড করতে হবে। তা হলে এখন এই বিজ্ঞপ্তির কারণ কী, সেই প্রশ্নেরও জবাব নেই।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version