Calcutta High Court Latest News TET পরীক্ষায় ৯২ শতাংশ নম্বর! প্রার্থীকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু, এরপর দুই মাস পার হয়ে গেলেও সেই নির্দেশ কার্যকর করার জন্য কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শুক্রবার এই বিষয়টিকে সামনে রেখেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

চার ঘণ্টার মধ্যে আদালতের নির্দেশ কার্যকর না করলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ, বিকেল ৩টে ২০ মিনিটের মধ্যে আদালতের পূর্ব নির্দেশ মানতে হবে।

২০১৪ সালের TET পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থী পল্লব বারিক। ওই পরীক্ষায় তিনি পাশ করেননি বলে জানায় পর্ষদ। যদিও গত বছর পর্ষদ জানিয়েছিল টেট পরীক্ষায় পাশ করেছেন তিনি। ৯২ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। টেট উত্তীর্ণ জানতে পেরে চাকরির দাবিতে হাইকোর্টে মামলা করেন ওই আবেদনকারী। গত ২১ সেপ্টেম্বর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ওই চাকরিপ্রার্থীকে প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার নির্দেশ দেন।

শুক্রবার এই মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘দু’মাসের বেশি সময়েও আদালতের নির্দেশ কার্যকর করেনি পর্ষদ।’ এরপরেই বিচারপতি বলেন, ‘শুক্রবারই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। চার ঘণ্টার মধ্যে আদালতের নির্দেশ না মানলে গৌতম পালের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হবে।’

এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এখনও পর্যন্ত পর্ষদ সভাপতির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া সম্ভব হয়নি। এই নির্দেশ কার্যকর করার জন্য কী পদক্ষেপ করতে চলেছে পর্ষদ? সেই বিষয়েও এখনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তিনি তৎকালীন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, শিক্ষিকা হিসেবে তিনি যে অর্থ পেয়েছিলেন, তা ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।

এই নির্দেশকে কেন্দ্র করে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনৈতিক মহলে। পরবর্তীতে বিচারপতি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছিলেন নিয়োগ দুর্নীতি সম্পর্কিত। যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত দুটি মামলা সরেছিল তাঁর বেঞ্চ থেকে। অন্যদিকে, বিভিন্ন সময় তাঁকে নিশানা করেছিলেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version