কী ঘটনা গুড়াপে?
অন ডিউটি পূর্ব রেলের বোর্ড লাগানো গাড়ি করে লরি ছিনতাই ও লুঠপাটের ঘটনা ঘটেছে হুগলির গুড়াপে। এই ঘটনায় তিন দুষ্কতীকে গ্রেফতার করছে গুড়াপ থানার পুলিশ। আটক করা হয়েছে একটি টাটা সুমো গাড়িকে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ভোর রাতে। গুড়াপ থানা এলাকার অন্তর্গত ২৩ নম্বর রুটের তেলেকোনা এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।
কয়লা বোঝাই একটি লরি গুড়াপ থেকে ওই রাস্তা ধরে দশঘরা যাচ্ছিল। তেলেকোনা এলাকায় হঠাৎ রেলের বোর্ড লাগানো একটি লাল রঙের টাটা সুমো লরিটির রাস্তা আটকে দাঁড়ায়। সেই সময় টাটা সুমোতে তিনজন ছিল। তারা লরির চালক বিকাশ কুমারের কাছে গাড়ির কাগজ পত্র দেখতে চায়। পুলিশ নয়, অথচ কাগজ পত্র দেখতে চাইছে দেখে সন্দেহ হয় বিকাশের। সেই কারণে তিনি কাগজ দেখাতে অস্বীকার করেন।
কাগজ দেখাতে অস্বীকার করায় তাকে মারধর করে। বড় কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মোটা টাকা দাবি করে ওই তিন দুষ্কৃতী। তখন ওই রাস্তা ধরে গুড়াপ থানায় টগলদারি গাড়ি যাচ্ছিল। শোরগোল দেথে থেমে যায় পুলিশের গাড়ি। বিকাশ পুলিশকে ঘটনা জানাতেই সুমো নিয়ে অভিযুক্তরা পালানোর চেষ্টা করে। তাদের ধাওয়া করে পুলিশের গাড়িও। কিছু দূর যাওয়ার পুলিশের লাল সুমোটিকে ধরে ফেলে।
সুমো গাড়ি সহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। ধৃত তিনজন জয়ন্ত দাস বিশ্বাস (২৯) ওরফে শুভ, বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘিতে। শেখ সইফ আজম (৩১) ওরফে ছোট, বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক এবং সুবাস কর্মকার, বাড়ি বর্ধমানের মেমরি এলাকায়। লরি চালকের অভিযোগের ভিত্তিতে ধৃত তিনজনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু করা হয়েছে। রবিবার তিনজনকে আদালতে পেশ করা হবে।
কী বললেন লরি চালক?
এই ঘটনার পর লরিচালক বিকাশ কুমার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘রানিগঞ্জ থেকে কয়লা নিয়ে আসছিলাম। তখন লাল রঙের একটি টাটা সুমো গাড়ি আামাদের রাস্তা আটকায়। গাড়ির কাগজপত্র চাইছিল। আমার সন্দেহ হওয়ায় কাগজ দিতে অস্বীকার করি। তখন মারধর শুরু করে। মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। তখন পুলিশ আসে। পুলিশ আসতেই ওরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ওদের গ্রেফতার করে। এই ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত।’