এই সময়: তৃণমূলের প্রবীণ সদস্যদের ভূমিকা কী হওয়া উচিত, তা নিয়ে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কিছু মন্তব্যকে কেন্দ্র করে গত বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল রাজ্যের শাসক দলের অন্দরে। তিনি তৃণমূলের পুরোনোদের একাংশের ভূমিকা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছিলেন।

এমনকী, সিপিএমের বৃদ্ধতন্ত্রের উদাহরণ টেনে তৃণমূলের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশঙ্কা প্রকাশও করেছিলেন কুণাল। এ বার সেই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি এদিন একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘পার্টিতে মমতাই শেষ কথা। আর কেউ নন। তরুণদের সুযোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যোগ্যদের মর্যাদা দেন তিনি।’

সৌগতর কথায়, ‘কুণাল সিপিএমের বৃদ্ধতন্ত্র নিয়ে ওঁর মতামত জানিয়েছিলেন। তবে প্রমোদ দাশগুপ্তর সময়েই সিপিএমে বৃদ্ধতন্ত্র শেষ হয়ে গিয়েছে। সিপিএমে রাশ এখন তরুণদের হাতে। বিজেপিতে বয়সসীমা ৭৫। তৃণমূলে এমন কোনও নিয়ম নেই। অভিষেক দু’-একবার এ বিষয়ে বলেছিলেন। তবে সেটা জোরালো নয়। চূড়ান্ত কথা মমতা বলে দিয়েছেন।’

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নেতাজি ইন্ডোরে দলীয় সভায় পার্টির পুরোনোদের গুরুত্ব দেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। নেতাজি ইন্ডোরের ওই সভায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছিল না কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন কুণাল। সেই প্রেক্ষিতে দমদমের সাংসদ সৌগত এদিন বলেন, ‘অভিষেক যুব সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য নেতা। তার জন্য ছবি থাকতে হবে, এমন কোনও কথা নেই।’

Trinamool Congress : তরুণ্যের সঙ্গে অভিজ্ঞতাও দরকার, মত তাপস-মদনের
এদিন মুখ খুলেছেন কুণালও। তাঁর কথায়, ‘এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের শেষ কথা। কিন্তু তৃণমূল তৈরি হওয়ার পর প্রথম ভোটে সৌগতবাবু সেটা সম্ভবত বুঝতে পারেননি। তাই মমতাদির বিরুদ্ধেই উনি প্রার্থী হয়েছিলেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version