কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী পদে দাঁড়াতে পারেন। রাজ্যের মানুষের আস্থা, আশীর্বাদ পেয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হতে পারেন এবং ভোটেও জিততে পারেন। এমনটাই মন্তব্য করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

অধীর রঞ্জন চৌধুরী এদিন একটি সাংবাদিক বৈঠক করাকালীন জানান, তাঁকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে একটা নির্বাচন হোক। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যদি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন, তাহলে আমি প্রথম লাইনে দাঁড়িয়ে তাঁকে ভোট দেব বলে জানান অধীর রঞ্জন চৌধুরী। উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন মুর্শিদাবাদ সফরে গিয়েছেন। গোটা জেলা জুড়ে এদিন তাঁর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। এদিন লালবাগে হাজারদুয়ারি দর্শনে যাবেন। পাশাপাশি, বহরমপুরের শহীদ ক্ষুদিরাম পাঠাগারে একটি রিডিং রুম উদ্বোধন করার কথা রয়েছে তাঁর।

অধীর বলেন, এটা বাংলার রাজনীতিতে নতুন দিগন্ত তৈরি করবে। কারণ এই সমস্ত মানুষকে বাংলার প্রতিনিধি করা উচিত। উনি বাংলার মানুষের বিশ্বাস অর্জন করেছেন। ওঁর মতো মানুষের মুখ্যমন্ত্রী হয় উচিত বলে আমার ব্যক্তিগত মত।’ এক স্বেচ্ছাসেবীবী সংস্থার আমন্ত্রণে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আজই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদে এসেছেন। আর এদিনই অধীর চৌধুরীর এহেন মন্তব্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ফের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের পাশে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। সোমবারই মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজের ব্যাপারে রিপোর্ট জমা করতে পারে এথিক্স কমিটি। তার আগেই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে পত্রবাণ অধীরের।

মহুয়া মৈত্র বিতর্কে এর আগেও পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে। এদিন লোকসভার স্পিকারকে চার পাতার চিঠি পাঠান অধীর চৌধুরী। সেখানে এথিক্স কমিটির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অধীর। তিনি জানিয়েছেন, টাকা নিয়ে প্রশ্নের ব্যাপারে মহুয়া মৈত্রের ব্যাপারে যে তদন্ত শুরু হয়েছে, সেটা অত্যন্ত একটি গোপনীয় বিষয়। কিন্তু, এথিক্স কমিটির সদস্যরা সেটি প্রকাশ্যে এনেছেন এবং বিভিন্ন মাধ্যমে সেটি নিয়ে মতামত দিচ্ছেন। এক্ষেত্রে এথিক্স কমিটির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি, সংসদীয় কমিটিগুলির নিয়ম এবং পদ্ধতিগুলির পর্যালোচনা করার কথা বলেন তিনি।

TET Recruitment Case: ৩টে ২০ মিনিট ‘ডেডলাইন’, না হলে আদালত অবমাননা মামলা! পর্ষদ সভাপতিকে কড়া হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
এদিন অধীর আরও জানান, মহুয়া মৈত্রকে যদিও সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়া হয়, তাহলে সেটা অনেক বড় শাস্তি হবে। একজন সাংসদের অনৈতিক আচরণ বলতে কী বোঝায় সেই নিয়মগুলি নিয়ে পর্যালোচনা করা উচিত বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, রবিবার সকালে মুর্শিদাবাদ জেলা সফরে এসেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version