রাজ্য়ে বিএড কলেজগুলিতে ভর্তির বিষয়ে ঠিক কী নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট, সেই দিকেই ছিল সব নজর। ২৫৩টি বিএড কলেজের ভবিষ্যৎ আপাতত নির্ভর করছে সুপ্রিম সিদ্ধান্তের উপর। কিন্তু, সর্বোচ্চ আদালতে এই মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল। মামলার পরবর্তী তারিখ ১১ ডিসেম্বর।

উল্লেখ্য, রাজ্যের ২৫৩টি বিএড কলেজে ছাত্র ভর্তির অনুমতি খারিজ করেছে বাবা সাহেব আম্বেদকর এডুকেশন বিশ্ববিদ্যালয় (বিএড বিশ্ববিদ্যালয়)। কারণ হিসেবে পরিকাঠামোগত ত্রুটি প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়েছে। যেমন শিক্ষকদের বেতনকাঠামো, অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ইত্যাদি। এরপরেই এই বিএড কলেজগুলির ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে পড়ে।

সংশ্লিষ্ট কলেজগুলিতে ছাত্র ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। প্রথমে মামলাটি উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে। পরবর্তীতে মামলাটি ওঠে ডিভিশন বেঞ্চে। দুই বেঞ্চই বলেন, ছাত্র ভর্তি পুরোপুরিভাবে বাতিল না করে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখুক সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়। ভর্তি লিঙ্ক খুলে দেওয়ার কথাও বলা হয়।

এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছ বাবা সাহেব আম্বেদকর এডুকেশন ইউনিভার্সিটি। নদিয়ার ভক্তবালা বিএড কলেজ থেকে শুরু করে আরও অন্যান্য একাধিক কলেজ রয়েছে বিবাদি পক্ষ হিসেবে।

সোমবার মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং সঞ্জয় কারোলের বেঞ্চে ওঠার কথা ছিল। কিন্তু, মামলাটি পরবর্তী তারিখ পর্যন্ত পিছিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই একাধিক ছাত্র মুখিয়ে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জন্য। সর্বোচ্চ আদালত ঠিক কী নির্দেশ দেয়? এখন সেই দিকেই সব নজর।

উল্লেখ্য, এই ২৫৩টি বেসরকারি বিএড কলেজের অনুমোদন বাতিল করার প্রতিবাদে গত তিনদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে বসে প্রতিবাদ করছেন শিক্ষক, শিক্ষিকা এবং মালিকরা সরব হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরা। সোমবার দিনভর উত্তপ্ত ছিল বাবা সাহেব আম্বেদকর এডুকেশন ইউনিভার্সিটি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।

এদিকে উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন নিয়মিত হুমকি ফোন পাচ্ছেন তিনি। অন্যদিকে, যে সমস্ত কলেজগুলিতে পড়ুয়া ভর্তিতে কোনও অনিয়ম পাওয়া যায়নি বিএড ইউনিভার্সিটি বন্ধ থাকার জন্য বিপাকে পড়েছে তারাও। গত ২৯ নভেম্বর রেজিস্ট্রার একটি নোটিশ দিয়ে জানিয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এরপরেই প্রশ্ন উঠছে, এম এড ফোর্ড সেমেস্টারের পড়ুয়াদের প্র্যাক্টিক্যালের নম্বর কী ভাবে জমা হবে? সব মিলিয়ে উদ্বেগে কলেজের মালিক এবং অধ্যক্ষরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version