সোমবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের থেকে সাক্ষাতের সময় চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিকেলে বিধানসভা থেকে সরাসরি রাজভবনে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। উপাচার্য-নিয়োগ বিতর্কে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতেই এদিন রাজভবনে যান মমতা। সংঘাতের আবহে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক প্রধানের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এর আগে ২ নভেম্বর বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে রাজভবনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

কী বললেন মমতা?

প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে বাইরে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো আলোচনা করার জন্য এখানে এসেছিলাম। এক ঘণ্টা ধরে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছি। আমরা মনে হয় আজকের এই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। এর বেশি আমি আর বাইরে বলতে পারব না। সব কিছু বাইরে বলা যায় না।’

রাজ্যপালের দেওয়া মিষ্টি।

রাজভবনে সৌজন্যের পরিবেশ

এদিন রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী সাক্ষাত ঘিরে রাজভবনে ছিল ব্যস্তার ছবি। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিশেষ উপহারস্বরূপ মুখ্যমমন্ত্রীর হাতে বিশেষ মিষ্টির ডালা তুলে দিয়েছেন রাজ্যপাল বোস। মুখ্যমন্ত্রীকে উপহার দেওয়ার জন্য আগেই তিনি তা অর্ডার করেছিলেন। কলকাতার নাম করা মিষ্টির দোকান থেকে অর্ডার দেওয়া হয়েছিল এই বিশেষ ডালা।

Jadavpur University Convocation: মেলেনি রাজ্যপালের অনুমতি, যাদবপুরে সমাবর্তনে বাড়ছে অনিশ্চয়তা
মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপালকে বৈঠকের পরামর্শ শীর্ষ আদালতের

রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে পৌঁছয়। সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই রাজ্যপাল বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এক তরফাভাবে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করছেন বলে জানায় রাজ্য। এই অভিযোগের জল পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্ট অবধি। সম্প্রতি উপাচার্য নিয়োগের সমাধান করতে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীকে বৈঠকে বসতে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। সেই নির্দেশর প্রেক্ষিতেই আজকের এই বৈঠক। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকেও এই বৈঠকে থাকার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।

উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত সার্চ কমিটির অবশিষ্ট নামে তালিকা জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এই তালিকা থেকে সার্চ কমিটির খসড়া তালিকা তৈরি করে আগামী ১২ ডিসেম্বর শীর্ষ আদালতের কাছে তা জমা দিতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে রাজ্য ও রাজ্যপাল সার্চ কমিটির খসড়া তালিকা তৈরি করতে পারে কি না, সেটাই এখন দেখার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version