এই সময়, খড়দহ: মন্ত্রীর স্লোগানের সঙ্গে গলা না মেলানোয় মেজাজ হারিয়ে তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে ধাক্কা! বর্ষীয়ান নেতা ও রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগই উঠেছে। সূত্রের খবর, মন্ত্রীর এ হেন আচরণে খানিকটা ঘাবড়ে যাওয়ারই জোগাড় হয়েছিল দলের নেতা-কর্মীদের। পরে অবশ্য দল বিষয়টি স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবেই দেখানোর চেষ্টা করে।

কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে শনিবার বিকেলে খড়দহের বিধায়ক তথা মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মিছিল বের করে তৃণমূল। বিলকান্দা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোলা বোর্ডঘর থেকে মিছিল শুরু হতেই স্লোগান দিতে শুরু করেন শোভনদেব৷ দলীয় সূত্রে খবর, ওই মিছিলে পর্যাপ্ত কর্মী হাজির না থাকায় এমনিতেই চটে ছিলেন মন্ত্রী। তার উপর তাঁর স্লোগানের সঙ্গে গলা না মেলানোয় মন্ত্রী বেজায় চটেন।

অভিযোগ, মিছিলের মাঝেই প্রকাশ্যে ব্যারাকপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর রাজবংশীকে ধাক্কা দেওয়ার পাশাপাশি ধমকও দিতে দেখা যায় তাঁকে। মিছিল থেকে কেন্দ্রের কাছে প্রাপ্য টাকা ফেরত দিতে হতে হবে বলে মন্ত্রী স্লোগান তুলেছিলেন। কিন্তু তাঁর স্লোগানের সঙ্গে মিছিলের অনেককেই গলা মেলাতে না দেখে মেজাজ হারিয়ে পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা প্রবীর রাজবংশীকে ধাক্কা মারেন শোভনদেব।

কর্মীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, সব কি ডেড বডি?

মিছিল উপস্থিত দলের নেতাকর্মীরা মন্ত্রীর এমন রণংদেহি মেজাজ দেখে খানিকটা হকচকিয়ে যান। পরিস্থিতি সামলে পরক্ষণেই মন্ত্রীর স্লোগানের সুরে গলা মেলান সকলে। যদিও গোটা ঘটনায় কোনও অন্যায় দেখছেন না পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর রাজবংশী।

TMC Dharna: জাতীয় সংগীতের অবমাননা! ১২ বিজেপি বিধায়কের নামে থানায় দায়ের অভিযোগ
তাঁর ব্যাখ্যা, ‘মিছিলের শুরুতে দলের ছেলেরা একটু অন্যমনস্ক ছিল। শুধু ধাক্কা কেন, চড় মারলেও আমাদের আপত্তি ছিল না। কারণ সোহাগ করা তারই সাজে, শাসন করে যে। ওঁকে আমরা অভিভাবকের মতো দেখি। উনি আমাদের সন্তানের মতো স্নেহ করেন।’ এ নিয়ে মন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া চাইতে ফোন করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version