আরও একবার সুপ্রিম কোর্টে প্রত্যাখ্যাত হল অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন। তিনি দীর্ঘ কয়েক মাস জেলে রয়েছেন। তাও আবার বাংলার জেলে নয়। দিল্লির তিহাড়ে। এর আগে একাধিকবার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। এবার সুপ্রিম কোর্টেও প্রত্যাখ্যাত হল গোরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের জামিন। কিন্তু, সর্বোচ্চ আদালতের আর্জিতে বিশেষ মন্তব্য শোনা গেল বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির কণ্ঠে।

সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে বর্ষীয়ান এই তৃণমূল নেতা প্রশ্ন তোলেন, ‘গোরু পাচারকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামূল হক জামিন পেয়েছেন। বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমার জামিন পেয়েছে। আমি গোটাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড নই। তারপরও আমাকে কেন আটকে রাখা হচ্ছে জেলে?’

তাঁর এই মন্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। অনুব্রতর জামিনের আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করেন ED-CBI-এর আইনজীবী অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু। তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির দেওয়া বয়ানও উল্লেখ করা হয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে। তিনি আদালতে বলেন, ‘অনুব্রত মণ্ডল প্রভাবশালী। জামিন পেলেই গোটা তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করবেন।’ শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, আগে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে কোনও চার্জ গঠন করা হোক, তারপর গোটা বিষয়টি আমরা ভেবে দেখব।

আমি গোটাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড নই

অনুব্রত মণ্ডল

আগে অনুব্রতর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হোক, তারপর ভেবে দেখবো আমরা, পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের। জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে এই মামলা পরবর্তী শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। এর মধ্যে ট্রায়াল কোর্টে সব নথি জমা দেবে সিবিআই, ইডি।

উল্লেখ্য, গোরু পাচার মামলায় ২০২২ সালে ১১ অগাস্ট গোরু পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে CBI। এই মামলার তদন্তে নেমে একাধিক তথ্য হাতে আসে গোয়েন্দাদের। প্রাথমিকভাবে তাঁকে আসানসোল সংশোধনাগারে আদালতের নির্দেশে রাখা হয়েছিল বেশ কিছুদিন। এরপর ৭ মার্চ তাঁকে ED দিল্লি নিয়ে যায়। এরপর ২১ মার্চ তিহাড়ে পাঠানো হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। আপাতত তিনি সেখানেই রয়েছেন।

২০১৭ তে ওয়ারেন্ট! অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ বলেই ধরেনি পুলিশ?

প্রসঙ্গত, এই মামলাতে তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল ED। এরপর সেখানে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। অনুব্রত মণ্ডলের পাশাপাশি সুকন্যা মণ্ডলও আপাতত তিহাড় সংশোধনাগারেই রয়েছেন।

অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পরেই রাজনৈতিক তরজা চরমে ওঠে। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার জামিনের জন্য আবেদন করেন কেষ্ট। কিন্তু, তা খারিজ হয়ে যায়। সর্বোচ্চ আদালতেও আপাতত স্বস্তি মিলল না অনুব্রত মণ্ডলের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version