যেমন কথা তেমন কাজ! কথা দিয়ে কথা রাখলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শাসকদল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকও বটে। অতীতেও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার একাধিক নজির তৈরি করেছেন অভিষেক। ফের একবার ডায়মন্ড হারবারবাসী তার সাক্ষী রইল। নিজের লোকসভা কেন্দ্রের প্রায় ৭০ হাজার বাসিন্দার বার্ধক্য ভাতার বন্দোবস্ত করতে উদ্যোগী তৃণমূল সাংসদ।

কী ঘটনা?

১০ নভেম্বর ফলতায় সভায় বার্ধক্যভাতা নিয়ে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে অভিষেকের কাছে। তৃণমূল সাংসদকে জানানো হয়, দুয়ারের সরকারের মাধ্যমে আবেদন করেও মেলেনি ভাতা। অভিষেক জানিয়েছিলেন ১৫ দিনের মধ্যে ৭০ হাজার মানুষের বার্ধক্যভাতা পাওয়ার ব্যবস্থা তিনি করবেন।

অভিষেকের কথা মতো ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৭টি বিধানসভার প্রতিটা অঞ্চল ও ওয়ার্ডে বুধবার থেকেই খোলা হয়েছে ‘সাংসদ সহায়তা কেন্দ্র’। সেখানে বার্ধক্যভাতার জন্য উপযুক্ত ব্যক্তিরা আসবেন এবং সাংসদের দেওয়া নির্দিষ্ট ফর্ম ফিলাপ করে যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দেবেন। একইসঙ্গে লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পুরসভাগুলিতেও এই ফর্ম ফিলাপ করা হবে। সাংসদের এই উদ্যোগে স্বাভাবিকভাবে খুশি ডায়মন্ডহারবারের স্থানীয় বাসিন্দারা।

ডায়মন্ড হারবার তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম দফায় ৬ থেকে ১০ ডিসেম্বর অবধি সাংসদ সহায়তা কেন্দ্র খোলা থাকবে। দ্বিতীয় দফায় সাংসদ সহায়তা কেন্দ্র খোলা থাকবে ১১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর অবধি।

ডায়মন্ড হারবার টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সৌমেন তরফদার বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিলে কথা রাখতে জানেন। তাঁর দেওয়া কথা অনুযায়ী ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ডে বিশেষ কেন্দ্র খুলে ফর্ম ফিলাপের কাজ চলছে। পাশাপাশি ফলতা, মহেশতলা, বজবজের মতো সাতটি বিধানসভার পঞ্চায়েত এলাকালগুলিতে ফর্ম ফিলাপের কাজ চলছে।’

ডায়মন্ড হারবারের ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’

নিজের লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে বরাবরই আবেগপ্রবণ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ২০১৪ সালে প্রথমবার ডায়মন্ড হারবার থেকে সাংসদ হওয়ার পর তাঁর উদ্যোগে এই এলাকায় একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। প্রত্যেক বছর ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’ নামে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেন তৃণমূল সাংসদ। সেখানে উন্নয়নের যাবতীয় খতিয়ান তুলে ধরা হয়। উৎসবের মরশুমেও লোকসভা কেন্দ্রের বাসিন্দাদের উপহার দিতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল সাংসদকে। করোনার সময় নিজের লোকসভা এলাকার মানুষদের মারণ রোগের হাত থেকে বাঁচাতে একাধিক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’ নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য। এখন স্থানীয়রা কবে ভাতা পান সেটাই এখন দেখার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version