উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার নাংলার বাসিন্দা আনিসুর রহমান মণ্ডল। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি। বাবাকে দীর্ঘ সময় লটারির টিকিট কাটতে দেখেছেন তিনি। সেখান থেকেই এই অভ্যাস ধার করেছিলেন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে লটারি কাটতেন তিনি। আর তাতেই কেল্লাফতে হয়েছে। রাতারাতি কোটিপতি হয়েছেন আনিসুর।
তাঁর লটারি পাওয়ার খবর সামনে আসার পরেই রীতিমতো উৎসবের মেজাজ গোটা এলাকা। চোখে জল বাবা আবু কায়েম মণ্ডলের। এই প্রবীণ বলেন, ‘এতদিন আমি কোটিপতি হওয়ার চেষ্টা করতাম। লটারি কিনেছি বহু। কিন্তু, কোনওদিন ভাগ্য প্রসন্ন হয়নি। এখন আমার ছেলে লটারি জিতে কোটিপতি হয়েছে। আমাকে লোকে কোটিপতির বাবা বলে ডাকছে। এর থেকে ভালো আর কী হতে পারে!’
আনিসুর জানান, কাজে বেরিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় কাজের ফাঁকে এক লটারির দোকানের দিকে চোখ যায় তাঁর। সেখান থেকেই তিনি টিকিটটি কেনেন। এরপর তা মেলাতে গিয়েই চোখ কপালে ওঠে তাঁর। কোটিপতির তালিকায় জ্বলজ্বল করছে তাঁর নাম। পুরস্কার বাবদ কোটি টাকা পেয়েছেন তিনি, প্রথমে তা বিশ্বাস করতে রাজি হচ্ছিলেন না। তাঁর বাবাও আনন্দে আত্মহারা।
রাজমিস্ত্রি আনিসুর অবশ্য পেশা বদল করতে রাজি নন। আনিসুর বলেন, ‘অবশ্যই খুব ভালো লাগছে। আমি ভাবতে পারিনি যে কোটিপতি হয়ে যাব। ফোনে সকলেই যোগাযোগ করছে। শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। আমার স্বপ্ন ছিল বাড়ি তৈরি করব। বাবার স্বপ্ন পূরণ করব। সকলেই অত্যন্ত খুশি। আমি রাতে ঘুমোতে পারিনি আনন্দে। আমি লটারিতে আর সেভাবে টাকা ঢালব না।’
অন্যদিকে, আবু কায়েম মণ্ডল বলেন, ‘আমার খুব ভালো লাগছে। আমি কোনও সময় টিকিট পায়নি। খুব খুশি। আমি যখন বাইরে বার হচ্ছি সেই সময় সকলেই আমাকে বলছে কোটিপতির বাবা এসেছে। এই এলাকায় প্রথম কোটিপতি। আর এই কথা শুনেই আনন্দে বুকটা ভরে যাচ্ছে। ছেলের আরও উন্নতি হোক এমনটাই চাই।’ এই পরিবারের উন্নতিতে খুশি এলাকার বাসিন্দারাও। কী ভাবে লটারির টিকিটটি ভাঙিয়ে প্রাপ্য অর্থ ঘরে তোলা যাবে, এখন সেই প্রক্রিয়াটিই খতিয়ে দেখছে পরিবার।