এদিকে, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে আর হাজির থাকতে চান না, এদিন তিনি আদালতের কাছে সশরীরে উপস্থিত হওয়ার আর্জি জানান। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘আমি এসেছি। বসে আছি চুপচাপ।’ বিচারক পাল্টা জানতে চান, ‘আপনাদের উপস্থিতি মামলার শুনানির জন্য ভালো। তবে জেল সুপারের তরফে আবেদন এসেছিল ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজির করার জন্য। আপনি কি হাজিরা দিতে চান? আপনি পারবেন তো?’ তাতে সন্মতি দেন পার্থ।
অন্যদিকে, এই একই মামলায় কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই এসএসকেএম হাসপাতালের সঙ্গে টানাপোড়েন চলছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-র। চিকিৎসকেরা অনুমতি না দেওয়ার কারণে সুজয়কৃষ্ণের ভয়েস স্যাম্পেল নিতে পারেননি ইডি অধিকারিকেরা। সে কারণে তাঁরা জোকা ইএসআই হাসপাতালে সুজয়কৃষ্ণের মেডিক্যাল টেস্টের আবেদন জানান আদালতে। সেই আবেদন মঞ্জুর করে মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেন বিচারক। জানা গিয়েছে, কাকুর শারীরিক পরীক্ষার জন্য পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
এর আগে কালীঘাটের কাকুর শারীরিক বিষয়ে আরও তথ্য পেতে এসএসকেএম হাসপাতালের সুপারকে তলব করেছিল ইডি। যদিও হাসপাতাল থেকে কাকুর মেডিক্যাল টেস্টের বিষয়ে যাবতীয় রিপোর্ট ই-মেল মারফত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তা থেকে জানা গিয়েছে, তাঁর চিকিৎসার উন্নতির জন্য মনোরোগ বিশেষজ্ঞকে নিয়োগ করা হয়েছিল। এর পাশাপাশি আরও কিছু রিপোর্ট দেওয়া হয়। এর পরেই এসএসকেএম হাসপাতালের সহযোগিতায় সুজয়কৃষ্ণকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে ইডি সূত্রে জানানো হয়েছে।