ছুটির দিনে কি কলকাতায় বৃষ্টির ভ্রুকুটি?
সাইক্লোন মিগজাউমের প্রভাবে মাত্র তিন দিন আগেও কলকাতায় আকাশের মুখ ভার ছিল। শুধু তাই নয় বৃহস্পতিবার বৃষ্টিপাতও হয়। কিন্তু, ধীরে ধীরে সরছে সাইক্লোনের প্রভাব। ১১ তারিখ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে একধাক্কায় নামতে চলেছে কলকাতার তাপমাত্রা। নতুন করে বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা কলকাতায় নেই।
শনিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কম এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশি। রবিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কমবে এবং সোমবার থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামতে পারে স্বাভাবিকের নীচে।
শনিবার বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯৬ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৬০ শতাংশ। তবে অন্যান্য বছরের মতো চলতি বছর জাঁকিয়ে শীত পড়বে না, এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা?
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রা একধাক্কায় অনেকটাই কমবে সোমবার থেকে। ইতিমধ্যেই প্রায় সমস্ত জেলাতেই রয়েছে শীতের আমেজ। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমবে। আগামী সোম থেকে বুধবারের মধ্যে একধাক্কায় কমবে পারদ।
তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছর জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কম। এর নেপথ্যে অন্যতম কারণ মনে করা হচ্ছে এল নিনো। কারণ এল নিনো শীতের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় রীতিমতো জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়তে পারে।
কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রার পারদ?
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রার পারদও বেশ নিম্নমুখী। শুধুমাত্র দার্জিলিং ছাড়া নতুন করে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কোনও জেলাগুলিতে নেই। বরং শীতের আমেজ উপভোগ করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। শীতের আমেজ গায়ে মেখেই পাহাড়ভ্রমণ করতে পারবেন পর্যটকরা। ইতিমধ্যেই মরশুমের প্রথম তুষারপাত হয়েছে দার্জিলিঙে। এরপর পাহাড়ে আরও বেড়েছে পর্যটকদের ভিড়। আগামী কয়েকদিন সেখানে আবহাওয়ার পরিস্থিতি বদল হওয়ার সম্ভাবনা কম। থাকবে শীতের আমেজ।