১০ ডিসেম্বর নাবালিকার মৃত্যুতে উত্তাল হয়েছিল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছিলেন কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা। শনিবার হাসপাতালের সারপ্রাইজ ভিজিট করলেন হাসপাতাল সুপার, মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ।

কী জানা যাচ্ছে?

নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনার পরে নড়েচড়ে বসল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার পা ধরে কিশোরীকে বাঁচানোর আকুতি মিনতি করেছিল কিশোরীর পরিবার। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। মন্ত্রী নিজে ওই কিশোরীর সুচিকিৎসার আশ্বাস দিলেও গত
১০ ডিসেম্বর মেডিক্যাল কলেজের আইসিইউতে মৃত্যু হয় কিশোরীর। ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। বিশাল পুলিশ মোতায়েন হয় হাসপাতাল চত্বরে।

আর কী পদক্ষেপ?

মৃত্যুর ঘটনায় একদিকে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাতজনের কমিটি তৈরি করে তদন্ত শুরু করেছে। ওই ঘটনার পর হাসপাতালের চিকিৎসার গাফিলতির দিক খতিয়ে দেখতে শনিবার আউটডোর সারপ্রাইজ ভিজিট করলেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমী নন্দী। সঙ্গে ছিলেন হাসপাতাল সুপার জয়ন্ত রাউত সহ অন্যান্য ডেপুটি সুপাররা। শুধু পরিদর্শন নয় সঙ্গে ছবি সংগ্রহ করেন তাঁরা।

পরিদর্শনে কী দেখলেন তাঁরা?

মেডিসিন, অর্থপেডিক ডিপার্টমেন্ট, চক্ষু বিভাগ, আউট ডোরে নির্দিষ্ট সময়ে ফাঁকা ছিল। ডাক্তার, অ্যাসিস্ট্যান্ট, টেকনিশিয়ান কেন সময়ে নেই তা জানতে চাইবে বলে জানা গিয়েছে। মৌসুমী নন্দী বলেন, হাসপাতালের আউট ডোর, ইনডোর ভিজিট করা হয়। এটা নতুন কিছু নয়। কিছু ওয়ার্ডে চিকিৎসক, স্টাফ নেই সময়ে। প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে তিনি বলেন, ‘এখনও অনেক ওয়ার্ড ঘুরতে হবে, কাজ আছে।’ এদিন হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে কোনও কক্ষে কর্মী না থাকলে ধমক দিতেও দেখা যায় মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমী নন্দীকে। কর্মী দেরিতে আসায় তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘ এমন করবেন না। জানেন তো সবকিছুই!’

Medinipur News : মন্ত্রী বীরবাহার উদ্যোগেও হল না শেষরক্ষা! নাবালিকার মৃত্যু, তুলকালাম মেদিনীপুর হাসপাতালে
নাবালিকা মৃত্যুর ঘটনা

মেদিনীপুর শহরের কলগাং এলাকার বাসিন্দা গত ৮ ডিসেম্বর মেদিনীপুর মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ওই নাবালিকার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে আইসিসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। রবিবার হাসপাতালে এসেছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। তাঁর পায়ে জড়িয়ে মেয়ের সুচিকিৎসার দাবি করেন বাবা। কিন্তু, রাতে মৃত্যু হয় নাবালিকার। হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছিলেন ওই পরিবারের সদস্যরা। সারা রাত ধরে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখায় নাবালিকার পরিবার, পরিজনরা। ঘটনার পর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিনাকী দত্ত, একাধিক ডিএসপি পদমর্যাদার অধিকারিক ও মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version