অবশেষে যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে হাওড়ায় চালু হয়ে গেল লঞ্চ পরিষেবা। যাত্রী সুবিধার কথা মাথায় রেখে পরিবহণ দফতরের উদ্যোগে এই পরিষেবা চালু হল। জানানো হয়েছে, আপাতত চারটি লঞ্চ চলবে হাওড়া থেকে বাবুঘাট, শোভাবাজার, বাগবাজার ও আহিড়ীটলা রুটে।

আর কী জানা যাচ্ছে?

হাওড়া থেকে চারটি ঘাটে ফেরি পরিষেবা চালানো হলেও বন্ধ থাকছে ফেয়ারলি ও আর্মেনিয়াম রুটের পরিষেবা। তবে খুব দ্রুত এই রুটে চালু করা হবে লঞ্চ পরিষেবা। এমনটাই জানিয়েছেন, হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্বে থাকা দুলাল ভট্টাচার্য।

উল্লেখ্য, রক্ষণাবেক্ষণের কারণ দেখিয়ে আজ, মঙ্গলবার থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির অধীনে হাওড়া ফেরিঘাট থেকে ফেরি পরিষেবা বন্ধ রাখার বিজ্ঞপ্তি জারি করে কর্তৃপক্ষ। আচমকা পরিষেবা বন্ধ হওয়ায় সমস্যায় পড়েন বহু যাত্রী। হাজার হাজার যাত্রী এই ফেরি পরিষেবার মাধ্যমে যাতায়াত করেন। কলকাতার উদ্দেশে অফিস, ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বহু মানুষ নদী পেরিয়ে এপারে আসেন। তাঁদের কথায় মাথায় রেখেই দ্রুত ফের ফেরি পরিষেবা স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।

কেন বন্ধ হয় পরিষেবা?

জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির দাবি ছিল, পরিবহণ মন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন ঘাটগুলিতে ১৫টি লঞ্চ দেওয়া হবে। কোনও কারণে সেটা আর হয়ে ওঠেনি। তাই রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অন্তত ৪টে দিন সার্ভিস স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফেরি পরিষেবা বন্ধ রাখার ব্যাপারে কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

Ferry Service Howrah : যাতায়াতে জলপথ ভরসা? রইল হাওড়া জেলার ফেরি সার্ভিসের খুঁটিনাটি
সমবায় জানায়, হাওড়া ঘাট থেকে মোট ১১টি লঞ্চে ফেরি সার্ভিস চালানো হয়। তবে এর মধ্যে পাঁচটি লঞ্চের ফিটনেস সার্টিফিকেট আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও আরও দুটি লঞ্চের ফিটনেস সার্টিফিকেট মঙ্গলবার শেষ হয়ে যাচ্ছে। ফলত, মাত্র চারটি লঞ্চ দিয়ে হাওড়া থেকে কলকাতায় আসার জন্য ফেরি পরিষেবা চালানো সম্ভব নয়। সেই কারণে ফেরি পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, এই পথে প্রায় ২৫ হাজার যাত্রী নিত্য ফেরি পরিষেবা ব্যবহার করে থাকেন। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই আপাতত কয়েকটি ঘাটে পরিষেবা পুনরায় চালু করা হল। আগামী দিনে বাকি ঘাটগুলোতেও যাতে ফেরি পরিষেবা দ্রুত স্বাভাবিক করা হয়, সে ব্যাপারে চেষ্ঠা করা হচ্ছে বলে জানান হয় জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির তরফে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version