নিয়োগ দুর্নীতিতে আদালতের কোর্টরুমে বসে তাঁর করা একের পর মন্তব্য ঝড় তুলেছিল রাজ্যে। বুধবার এহেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে হাজির একদল যুবক-যুবতী। দাবি একটাই, চাকরি চাই। কারও চোখে জল, কেউ আবার হাতে ধরে রয়েছেন ‘আমরা ভগবান দর্শনে এসেছি’ লেখা পোস্টার। বাইরে বেরিয়ে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সেই SLST চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বললেন। তাঁদের একাধিক পরামর্শ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

কী পরামর্শ দিলেন বিচারপতি?

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসতেই চাকরি প্রার্থীরা তাঁকে জানান, সুপারিশপত্র মিললেও তাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে না। বিচারপতিকে পথ দেখানোর অনুরোধ করেন চাকরি প্রার্থীরা। জবাবে চাকরিপ্রার্থীদের আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির কথা শুনে চাকরিপ্রার্থীরা তাঁকে জানান, ‘স্যর আমরা বেকার। মামলা লড়ার মতো টাকা নেই।’

চাকরিপ্রার্থীদের মুখে এই কথা শুনে বিচারপতি তাঁদের কলকাতা হাইকোর্টের আইনি সহায়তাকেন্দ্রের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেন। বিচারপতি বলেন, ‘আমার এখানে কিছু করার নেই। আইনের বাইরে গিয়ে আমি কিছু করতে পারব না। আপনারা আইনের দ্বারস্থ হোন। মামলার লড়ার মতো টাকা না থাকলে লিগ্যাল সার্ভিসেস এইডের দ্বারস্থ হোন। মামলা লড়ার জন্য লিগাল এইডই আপনাদের আইনজীবীর ব্যবস্থা করে দেবে। এইভাবে অনেক মামলা লড়া হয়। আপনাদের প্রতি সহমর্মী বলেই নীচে নেমে কথা বলতে এসেছি। কিন্তু এখানে আমার সত্যিই কিছু করার নেই।’ চাকরিপ্রার্থীদের হাল না ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি।

মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা বিচারপতি মুখে

চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বিচারপতির কথোপকথনের সময় উঠে আসে ক্যানসার আক্রান্ত চাকরিপ্রার্থী সোমা দাসের প্রসঙ্গ। সোমার চাকরির বিচারপতির জন্যই হয়েছে বলে দাবি করেন চাকরিপ্রার্থীরা। জবাবে বিচারপতি বলেন, ‘সোমা দাসের চাকরি আমি দিইনি। আমি অনুরোধ করেছিলাম, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরি দিয়েছেন। সম্পূর্ণ মানবিকতার জেরে ক্যানসার আক্রান্ত ওই প্রার্থীর চাকরির ব্যবস্থা করেছেন তিনি। সহমর্মিতা দেখিয়েছেন উনি।’

SLST চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশেও বার্তা দিতে শোনা যায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, ‘SLST চাকরিপ্রার্থীরা কেন রাস্তা বসে রয়েছেন আমি জানি না। আইনি জটিলতা থাকলেও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়া যেতেই পারে। একটা পিটিশন দাখিল করলেই মামলা লড়া যাবে। দিনের পর দিন রাস্তা বসে থেকে তো কোনও লাভ নেই। এতদিন তো রাস্তা বসে থেকে কাটল।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version