রাজ্য সরকারি কর্মীদের বড়দিনের আগে সুখবর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও ৪ শতাংশ DA বরাদ্দ করেছেন তিনি। যদিও রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ এই ঘোষণার পর খুশি নন। কেন্দ্রীয় হারে DA-র দাবিতে সুর চড়াচ্ছেন তাঁরা। অন্যদিকে, আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগে সরব রাজ্য। এদিকে এরই মধ্যে বাংলাকে ৫৪৮৮.৮৮ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। কর বাবদ এই টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

যদিও কেন্দ্রের থেকে আরও বহু টাকা পাওনা রয়েছে বলে দাবি করেছে রাজ্য। এদিকে নতুন করে এই চার শতাংশ DA দিতে রাজ্য়ের ভাড়ার থেকে খসছে কত টাকা? বহু কৌতুহলি মহল থেকে এমনই প্রশ্ন উঠেছিল।

জানা গিয়েছে, এই অতিরিক্ত ৪ শতাংশ ডিএ বাবদ রাজ্য সরকারের তহবিল থেকে বছরে অতিরিক্ত ২ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা ব্যায় হতে চলেছে। এছাড়াও ১০ শতাংশ DA বাবদ দেওয়ার জন্য রাজ্যের ব্যয় হবে ৬ হাজার ৮৮৮ কোটি।

কত সরকারি কর্মী উপকৃত হবেন?

জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণার পর প্রায় ১৪ লাখ ৫০ হাজার সরকারি, আধাসরকারি কর্মী, শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীবৃন্দ এবং পেনশনভোগী উপকৃত হবেন।

DA Protest: ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রতিবাদ, ভোরেই উত্তপ্ত নবান্ন চত্বর

এর আগে ছয় শতাংশ DA দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের তহবিল থেকে বার্ষিক ৪ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা খরচ হচ্ছিল। সরকারি তথ্য বলছে, নয়া পে কমিশনের সুপারিশ কার্যকরী করার জন্য রাজ্য সরকার গত তিন বছরের DA সহ বেতন এবং পেনশন বাবদ দুই লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে।

DA Update : কবে থেকে মিলবে বর্ধিত মাইনে? কতটা কমল কেন্দ্র-রাজ্য DA ফারাক? জানুন
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় হাতে DA-র দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। প্রথমে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল বা স্যাট-এ জয়ী হয় রাজ্য সরকারি কর্মীদের মামলাকারী সংগঠন। এরপর মামলা গড়িয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে।
গত বছর কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ যাবতীয় DA মিটিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, এই জন্য তিন মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। যদিও সেই আবেদন পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানিয়ে ফের ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য এবং তা খারিজ হয়ে যায়।

আপাতত এই মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। সর্বোচ্চ আদালত DA মামলায় কী নির্দেশ দেয় এখন সব নজর সেই দিকেই। উল্লেখ্য, ৪ শতাংশ DA বৃদ্ধির দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দেন, এটি ঐচ্ছিক বিষয়, বাধ্যতামূলক নয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version