কলকাতার অভিজাত এলাকা যোধপুর পার্ক। স্বাধীনতার পর থেকেই এই অভিজাত এলাকায় আড়ালে রয়ে গিয়েছে আদিবাসী এবং হরিজনদের দু’টি বসতি। এই দুই পাড়ায় বসবাস করেন হাজারখানেক মানুষ। তবে এখনও এই এলাকার মানুষ পরিস্রুত জল পান না। সেই সমস্যা মিটতে চলেছে। ওই দুই এলাকার জন্য অচিরেই পরিস্রুত পানীয় জলের বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরি করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যোধপুর পার্কের একটি জলাশয়ের জল খেয়ে থাকেন আদিবাসী ও হরিজন পল্লির বাসিন্দারা। ওই জলেই তাঁরা নিত্য দিনের কাজ মেটান। দেরিতে হলেও কলকাতা পুরসভা এই ব্যাপারে নজর দিয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দাদের জন্য একটি ২ মিলিয়ন গ্যালন পরিস্রুত পানীয় জলের পাম্পিং স্টেশন বানাবে পুরসভা। জল সরবরাহ বিভাগের আধিকারিকদের এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

সম্প্রতি যোধপুর পার্ক লাগোয়া কাটজু নগরে ১৩.৬ মিলিয়ন গ্যালন জলের একটি বুস্টার পাম্পিং স্টেশন নির্মাণের শিলান্যাস করেন মেয়র। সেই বুস্টার পাম্পিং স্টেশনের কাজ শুরু হবে জানুয়ারি থেকে। নতুন এই জলপ্রকল্পের নির্মাণের কাজ শেষ হলে পোদ্দার নগর, কাটজু নগর, যাদবপুর নর্থ রোড এবং বিক্রমগড়ের একাংশ-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ গার্ডেনরিচ প্রকল্পের পরিস্রুত পানীয় জল পাবেন।

ওই জলাধারের শিলান্যাসের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মেয়র বলেন, ‘আমি শুনলাম, এখানকার আদিবাসী পাড়া ও হরিজন পল্লির বাসিন্দাদের পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। তাই আরও একটি ২ মিলিয়ন গ্যালন জলের বুষ্টার পাম্পিং স্টেশনের ব্যবস্থা করা হবে। যাতে কারও পানীয় জল পেতে সমস্যা না হয়।’

স্থানীয় ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মৌসুমি দাস বলেন, ‘কাউন্সিলার হওয়ার পরে আমি জানতে পারি, আদিবাসী পল্লি ও হরিজন পাড়ার মানুষদের পানীয় জলের সমস্যার কথা। আমি ওঁদের পানীয় জলের সমস্যার সামধান করার জন্য ওই দুই পাড়ায় দু’টি পানীয় জলের ট্যাঙ্ক বসানোর ব্যবস্থা করেছি। ওই ট্যাঙ্কে প্রতিদিন গার্ডেনরিচের পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হয়। ওঁরাও সেই জল ব্যবহার করছেন। মেয়র পৃথক একটি ২ মিলিয়ন গ্যালন জল প্রকল্পের কথা ঘোষণা করায় এত দিনে ওই সব আদিবাসী ও হরিজন পল্লির মানুষদের পরিস্রুত পানীয় জল মেলার নিশ্চয়তা পাওয়া গেল।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version