নাম না করে টেনে আনেন ‘ক্যাশ ফর কোয়েশ্চেন’ বিতর্কে লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের প্রসঙ্গ। শাহ ওই বৈঠকে বলেন, ‘দিদির দলের এক সাংসদ কিছু উপহারের বিনিময়ে নিজের সংসদীয় অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড এক ব্যবসায়ীকে তুলে দিয়েছিলেন। তৃণমূল নেত্রী এখনও সেই প্রাক্তন এমপি-কে আড়াল করার চেষ্টা করছেন।’
এরপরেই শাহ সোশ্যাল মিডিয়ার কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা প্রশ্ন তুলুন। উনি (মহুয়া) বাংলার গরিব মানুষের স্বার্থে সংসদে কতগুলো প্রশ্ন করেছিলেন। উত্তরটাও জানা—একটা প্রশ্নও করেননি। কারণ, গরিব মানুষরা তো ওঁকে কোনও দামি উপহার দিতে পারবেন না।’ সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে এথিক্স কমিটির সুপারিশ মেনে খারিজ করা হয় মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ।
যদিও যে প্রক্রিয়ায় তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে—সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মহুয়া। এদিন দলীয় মিটিংয়ে শাহের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সংবাদমাধ্যমে কোনও মন্তব্য করেননি মহুয়া নিজে। তবে শাহের এই বক্তব্যের পাল্টা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘উনি (শাহ) বরং একটা প্রশ্নেরই উত্তর দিন—লোকসভার নিরাপত্তা কেন বিঘ্নিত হয়েছিল? সেই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু তিনি আজও সংসদে দাঁড়িয়ে দিতে পারেননি। এড়িয়ে যাচ্ছেন, পালিয়ে যাচ্ছেন।’