বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্য রাজনীতির অন্যতম প্রধান ইস্যু তৃণমূলের ‘নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব’। এই নিয়ে প্রতিদিনই নানা মন্তব্য উঠে আসছে শাসক-বিরোধী শিবির থেকে। এরই মাঝে এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন দমদমের বিধায়ক ব্রাত্য বসু ও এলাকার সাংসদ সৌগত রায়।

মঙ্গলবার দমদম উৎসবের উদ্বোধনে এসে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে এলাকার বিধায়ক ব্রাত্য বসু বলেন, ‘আমি তো দলে কোনও টের পাচ্ছি না নবীন-প্রবীণ কী দ্বন্দ্ব আছে? আমার সময়ও নেই। আমি আমার দফতর, আমার রাজনৈতিক কাজ, আমার এলাকার কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছি। গণমাধ্যমে সত্যিই কী চর্চা হচ্ছে, কী নিয়ে ডিবেট হচ্ছে, সে আমি জানি না, জানতে চাইও না। তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক পরিসর নিয়ে আছে। এইসব বিতর্ক করে তৃণমূলকে বিরক্ত করা যাবে না।’

অন্যদিকে সাংসদ সৌগত রায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি মনে করি আমি তৃণমূলে এসেছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে দেখে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই প্রথম কথা এবং শেষ কথা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সর্বভারতীয় সভানেত্রী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এর বাইরে আমি কিছু জানি না, বলতেও পারবো না। মমতা হচ্ছেন ভোট ক্যাচার, ভোট পুলার। আমি দেখেছি আমি সভা করতে গেলে ১০০ লোকও হয় না, মমতা সভা করলে ১০ হাজার লোক হয়।’

প্রসঙ্গত, তৃণমূলের অন্দরে নবীন ও প্রবীণদের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব রয়েছে কি না, এই প্রশ্নে এখন সরগরম গোটা রাজ্য রাজনীতি। সূত্রের খবর, সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি তাঁর ঘনিষ্ঠমহলে বলেছেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে তিনি শুধুমাত্র নিজের সাংসদ এলাকা ডায়মন্ডহারবারেই মনোনিবেশ করতে চান। দল কোনও জনসভা দিলে করবেন, কিন্তু ওইদিন যদি ডায়মন্ডহারবারে পূর্ব নির্ধারিত কোনও কর্মসূচি থাকে তাহলে দলের দেওয়া জনসভা করতে পারবেন না। এরপরেই জল্পনা ছড়ায় তবে কী দলের শীর্ষস্তরে নেতৃত্বের মধ্যে কোনওরকম মতভেদ দেখা যাচ্ছে?

যদিও ব্রাত্য বা সৌগতর মতো দলের তাবড় নেতারা সেই দাবি মানতে নারাজ। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে সুব্রত বক্সি বলেন,’কিছু সংবাদ মাধ্যম ভাবছে তৃণমূল ভেঙে যাবে, তাতে জল ঢেলে দিলাম৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এই নির্বাচনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আশা করি লড়াইয়ের ময়দান থেকে পিছিয়ে যাবেন না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই লড়াই করবেন, জোড়া ফুলকে সামনে রেখেই লড়াই করবেন৷’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version