কী জানা যাচ্ছে?
আদালতে শুনানির পরেই ইডির তৎপরতা এসএসকেএম হাসপাতালে। এদিন সন্ধ্যায় নিয়ে আসা হল বিশেষ ৫জি অ্যাম্বুল্যান্স। যা আগেও নিয়ে আসা হয়েছিল কালীঘাটের কাকুকে যোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য । তাই মনে করা হচ্ছে জোকায় এস আই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে, কালীঘাটের কাকুকে। তার পাশাপাশি সিআরপিএফের একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক কার্ডিয়লজি বিভাগে প্রবেশ করেন। অন্যদিকে, জোকা ইএসআই হাসপাতাল তরফে জানানো হয়েছে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁদের হাসপাতালে।
কেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে?
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে কালীঘাটের কাকু কণ্ঠস্বর সংগ্রহের মামলার শুনানি হয়। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে রুদ্ধদ্বার শুনানি হয়। এরপরেই কালীঘাটের কাকুকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া হয়। এদিন আদালতে ভার্চুয়াল হাজিরা দেন ইডির যুগ্ম অধিকর্তা ও জোকা ইএসআই হাসপাতালের আধিকারিকরা।
দীর্ঘদিন ধরেই কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে ইডি। তবে এসএসকেএম হাসপাতালের তরফে মেডিক্যাল বোর্ড বারংবার জানিয়ে দেয়, কাকুর শারীরিক অবস্থা সঠিক না থাকার কারণে কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব নয়। এমত অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলে ইডি। নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির তদন্তে বিলম্বিত হচ্ছে বলে তাঁদের তরফে দাবি করা হয়।
দীর্ঘ টালবাহানা পর আদালতের দ্বারস্থ হয় ইডি। ইতিমধ্যে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানির ৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা সম্পত্তি অ্যাটাচমেন্ট কাজ শুরু হয়েছে। এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত কালীঘাটের কাকু। তিনি এই কোম্পানির অন্যতম ডিরেক্টর ছিলেন বলে দাবি করা হয়। কালীঘাটের কাকুকে নিয়ে তদন্তের সময় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভয়েস রেকর্ডিং পাওয়া গিয়েছে। সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের মোবাইল ঘেঁটে সেগুলি হাতে পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। সেই ভয়েস রেকর্ডিং-এর ভিত্তিতে কালীঘাটের কাকুর গলার স্বর নমুনা পরীক্ষা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তাঁরা। এমনকি, এই পরীক্ষা হলে অনেক প্রভাবশালী নাম উঠে আসতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।