জানা গিয়েছে, দৌলতাবাদের চোঁয়াডাঙ্গা গ্ৰামের প্রাইমারি স্কুলের ছাত্র সে। অন্যান্য দিনের মতো এদিনও স্কুলে যায় সে। দুপুরে মিড ডে মিলের খাবার খাওয়ার পর স্কুলের আশেপাশে ছোটাছুটি করার সময় কুড়িয়ে পায় একটি গোলাকার বস্তু। বল ভেবে হাতে করে নিয়ে একটি দেওয়ালে ছুড়ে মারতেই ঘটে যায় বিস্ফোরণ। ভয়াবহ শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা তাতেই শিশুটির প্রাণ যায়।
এদিকে বিকট আওয়াজ শুনতে পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। দেখতে পান ক্ষত বিক্ষত অবস্থায় পড়ে রয়েছে শিশুটির। সঙ্গে সঙ্গে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। কান্নায় ভেঙে পড়েন মুকলেসুর রহমানের পরিবারের লোকজন। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দৌলতাবাদ থানায়। পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পাঠায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
ঘটনার পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্কুল চত্বরে কী ভাবে বোমা এল, তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা। কে বা কারা ওই জায়গায় বোমা রেখে গেল, আশেপাশে কোথাও দুষ্কৃতীরা বোমা তৈরি করে কি না, সেই সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার জেরে স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়া ও অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, এর আগেও রাজ্যে বিভিন্ন সময় এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে রেল লাইনের ধারে পড়ে থাকা বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় এক শিশুর। ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায়। মৃত শিশুটির নাম ছিল নিখিল পাসোয়ান। গুরুতর আহত হয় মহেশ সাউ নামে আরও এক বালক। স্থানীয়দের অভিযোগ করেন, এলাকায় দুষ্কৃতী তাণ্ডব বেড়েছে। তাদের কারণে ওই ঘটনা ঘটে।
তার আগে ২০২১ সলের মার্চ মাসেও একইভাবে মৃত্যু হয় আরও এক শিশুর। সেই ঘটনাটি ঘটেছিল বর্ধমান শহরের রসিকপুরে। সেই ঘটনাতেও ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকাজুড়ে। আর এবার মুর্শিদাবাদ জেলাতেও ঘটে গেল একই ধরণের ঘটনা।