অবশেষে সন্দেশখালির ঘটনায় মুখ খুললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন তিনি। রাজ্য সরকারের এই ধরনের হিংসার ঘটনা রোখার জন্য সর্বতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলেও দাবি করলেন তিনি। রাজ্যপাল হিসেবে সঠিক সময়ে তিনি সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও জানান।

কী জানালেন রাজ্যপাল?

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, ‘সরকারের উচিত গণতন্ত্রে এই ধরনের বর্বরতাকে রুখে দেওয়া।’ এরপরেই তিনি উল্লেখ করেন, ‘সরকার যদি তার প্রাথমিক দায়িত্ব পালন করতে না পারে, তবে দেশের সংবিধান উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে।’ তিনি উল্লেখ করেন, জঙ্গলরাজ এবং গুন্ডাগিরি মূর্খদের স্বর্গে হয়, কিন্তু বাংলা সেরকম জায়গা নয়।

সরকারের প্রতি বার্তা

রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের উদ্দেশে জানান, তাঁদের দায়িত্ব এই ধরনের অপরাধ বন্ধ করা। যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের যত শীঘ্রই সম্ভব খুঁজে বের করা উচিত, শাস্তি দেওয়া উচিত বলেও জানান তিনি। তাঁর কথায়, এটাই আসল সময় এই ধরনের গুন্ডাগিরি এবং সন্ত্রাস রুখে দেওয়ার। সেটা সরকারের দেখা উচিত।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সন্দেশখালি এলাকায় তৃণমূল নেতা শাজাহান শেখের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সেখানেই মারমুখী জনতার সম্মুখীন হতে হয় ইডি আধিকারিক, কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের। ইডি আধিকারিক জনতার আক্রমণে আহত হন। আহত হন একাধিক সংবাদ মাধ্যমে কর্মীরা। ভাঙচুর করা হয় একাধিক গাড়িতে।

Justice Abhijit Ganguly : ‘নতুন রাজনৈতিক জীবনের জন্য শুভকামনা’, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের আগে ‘বিজেপি নেতা’ লিখে কটাক্ষ দেবাংশুর
উল্লেখ্য, তৃণমূল নেতা শাজাহান শেখের বিরুদ্ধে এর আগে একাধিক অভিযোগ উঠলেও কোনভাবেই আটকানো সম্ভব হয়নি তার বাহিনীর দৌরাত্ম। শুধু তাই নয় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই নেতার বিরুদ্ধে। ভাঙিপাড়া এলাকার তিন জন বিজেপি কর্মী নিরুদ্দেশ এখনও কোনও খোঁজ মেলেনি তাদের বলেও জানা গিয়েছে। এই নেতার বাড়িতেই রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে আজ তদন্ত করতে যান ইডি আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় সংস্থার দল ওই এলাকায় পৌঁছাতেই শুরু হয় উত্তেজনা। গোটা এলাকায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই ঘটনার চূড়ান্ত সমালোচনা করা হয়ছে বিরোধীদের তরফে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version