> বাম যুব সংগঠনের ব্রিগেড সমাবেশের জন্য দলে দলে আসতে শুরু করেছেন কর্মী-সমর্থকেরা।
ইনসাফ যাত্রা শেষে ব্রিগেড সমাবেশ
কিছুদিন আগে সমাপ্ত ইনসাফ যাত্রায় ২,২০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছেন সিপিএমের যুব সংগঠনের কর্মী-সমর্থকেরা। মোট ৫০ দিনের ছিল ইনসাফ যাত্রা। তারপর এই ব্রিগেড সমাবেশের আয়োজন। ‘হাইভোল্টেজ’ এই ব়্যালিকে ঘিরে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে যে পরিমাণ উৎসহা-উদ্দিপনার সঞ্চার হয়েছে, তা দেখে খুব স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত ডিওয়াইএফআই এবং সিপিএম নেতৃত্ব। এই বিষয়ে সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘ব্রিগেড তার ছন্দ খুঁজে পাবে, মাঝখানে যে ছন্দপতন হয়েছে রাজ্যে রাজনীতিতে, সংস্কৃতিতে, শিক্ষায়, সাহিত্যে, শিল্পে, প্রশাসনে, সেই ছন্দপতন রোধ করার জন্য যুবরা শপথ নেবে, জনগণ তাদের সাথ দেবে।’
ব্রিগেডের প্রস্তুতি কেমন?
ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলা থেকে ব্রিগেডমুখী হতে শুরু করেছেন ডিওয়াইএফআই ও সিপিএম-এর কর্মী সমর্থকেরা। নির্বাচনের আগে নেতাদের কাছ থেকে দিক নির্দেশিকা পেতে মুখিয়ে রয়েছেন তাঁরা। সূত্র মারফৎ যা জানা যাচ্ছে, ব্রিগেডের মূল মঞ্চের দৈর্ঘ্যে ৩২ ফুট এবং চওড়ায় ২৪ ফুট। দ্বি-স্তরীয় মূল মঞ্চে থাকছে চার ফুট বাই চার ফুটের রস্টাম। সেখান থেকেই ভাষণ দেবেন বক্তারা। এছাড়াও মূল মঞ্চের ডান দিক এবং বাঁ দিকে দৈর্ঘ্যে ৪০ ফুট ও চওড়ায় ৪০ ফুটের দুটি পৃথক মঞ্চ থাকছে। সেই মঞ্চ দু’টিতে থাকবেন মৃত বাম কর্মীদের পরিবারের পরিজন এবং দলের নেতৃত্ব। নেতা-নেত্রীদের বার্তা যাতে সকলের কাছেই স্পষ্টভাবে পৌঁছয়, তার জন্য থাকছে ৬৫০ মাইক।
কারা বক্তব্য রাখবেন?
মোট ৭টি মিছিলের মাধ্যমে ব্রিগেডে পৌঁছবেন লালঝান্ডাধারীরা। মিছিলগুলি যাবে শিয়ালদা স্টেশন, হাওড়া স্টেশন, শ্যামবাজার, হাজরা,পার্ক সার্কাস, সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশন ও সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে। এদিনের ব্রিগেড সমাবেশে বক্তাদের তালিকায় রয়েছেন, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, এসএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য ও DYFI-এর প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক আভাস রায়চৌধুরী। এখন দেখার এদিনের মঞ্চ থেকে কর্মী সমর্থকদের কী ‘ভোকাল টনিক’ দেন নেতা-নেত্রীরা।