নবদ্বীপের বিধায়ক জানান, এটা সম্পূর্ণ ভাবে বিরোধীদের অপচেষ্টা। এতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না। দলের মধ্যে নবীন প্রবীণের মধ্যে কোনও সমস্যা নেই। এরকম একটা ধারণা বাইরে প্রচার করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, দলের শুরুর দিন থেকে রয়েছেন নবদ্বীপের এই বিধায়ক। দলের অনেক উত্থান পতন দেখেছেন তিনি। পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা বলেন, ‘যাঁরা তৃণমূলকে পছন্দ করেন না, তাঁরা তৃণমূলের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাঁধানোর চেষ্টা করছেন। তৃণমূলের অন্দরে এরকম কোনও উৎশৃঙ্খলতা হয়নি।
প্রবীণ বিধায়ক জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন দীর্ঘদিন আন্দোলন করে দলকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন, সেরকমই নতুন নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েকদিন আগেই নবজোয়ার করে দেখিয়ে দিয়েছেন, তিনিও মানুষের সমর্থন কী ভাবে জোগাড় করে আনতে পারেন। সুতরাং, বয়সটা এখানে কোনও বিষয় নয়। দলের জন্য আত্মত্যাগ করছেন, তাঁরাই দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন
উল্লেখ্য, রবিবার ডায়মন্ড হারবার একটি কর্মসূচি থেকে এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও এদিন জানিয়ে দেন, দলের মধ্যে এরকম কোনও দ্বন্দ্ব নেই। গৃহদাহ নেই। তিনি জানান, বয়স্কদের বিষয়ে তিনি দলে জানিয়েছিলেন। অভিষেক যুক্তি দেন, তিনি এখন যেভাবে নবজোয়ার যাত্রা করছেন, নিশ্চয়ই সত্তর বছর বয়সে সেটা আর করতে পারবেন না। সেটাই জানানো হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই দলের প্রবীণ সদস্যরা মুখ খুলেছেন বিষয়টি নিয়ে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সৌগত রায় জানাতে থাকেন, দলে প্রবীণদের ভূমিকা থাকবে চিরন্তন। বয়সের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। তবে বিষয়টি নিয়ে জটিলতা দূর করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।