গত ৯ মাসে ভিড়ের পরিসংখ্যান
সেই ভিড়ে রয়েছেন বাঙালি কিংবা অবাঙালি থেকে শুরু করে বিদেশি, প্রত্যেকেই। এই প্রসঙ্গে পর্যটন ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, গত ৯ মাসে দার্জিলিঙে পা রেখেছেন অন্তত পাঁচ লাখ পর্যটক। বিদেশি ট্যুরিস্টের সংখ্যাও ছাড়িয়ে গিয়েছে পাঁচ হাজার। এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী সরকারি তথ্য বলছে, গত ৯ মাসে দার্জিলিঙে পা রেখেছেন ৭ লাখ ৩৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। তার মধ্যে একটা অংশ স্থানীয় মানুষজন হলেও বাইরের পর্যটকের সংখ্যা কোনওভাবেই পাঁচ লাখের কম নয় বলেই দাবি প্রশাসনের। এই প্রসঙ্গে পর্যটন দফতরের কর্তারা জানান, দার্জিলিঙে এবং কালিম্পং মিলিয়ে তাদের মোট পাঁচটি অতিথি আবাস আছে। কোনওটাতেই কোনও ঘর খালি নেই। শীত পড়ার পর থেকে কার্যত তিল ধারণের জায়গা নেই।
‘বুকিং ফুল’ হোম স্টে-গুলিতেও
এছাড়া এই অঞ্চলে প্রায় ৮০০ হোটেল ও লজ রয়েছে। হোম স্টের সংখ্যা প্রায় হাজার তিনেক। কিন্তু সর্বত্রই ভিড়ের ছবিটা একই। এই প্রসঙ্গে হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল সংবাদমাধ্যমে জানান, রাজ্য সরকারের পর্যটন দফতর সম্প্রতি বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে। যেমন, স্থানীয় গাইডদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, তেমনই ট্রান্সপোর্ট সংস্থার কর্মীদেরও প্রশিক্ষণ দিয়ে পর্যটক-বান্ধব করে তোলা হয়েছে। যাঁরা হোম স্টে চালান, তাঁরাও যাতে আরও ভালোভাবে আতিথি আপ্যায়ন করতে পারেন, সেই বিষয়েও দেওয়া হয়েছে প্রশিক্ষণ। আর তারই সুফল পেয়েছে পাহাড়ের পর্যটন শিল্প।
প্রসঙ্গত, একঘেয়ে দার্জিলিঙের চেয়ে বিগত কয়েক বছরে পর্যটকদের আকর্ষণ অনেকটাই বেড়েছে ‘অফ বিট’ পর্যটনস্থলগুলির প্রতি। ফলে দার্জিলিঙ সংলগ্ন এলাকাগুলিতে বেড়েছে হোম স্টে। ঘুম স্টেশন থেকে যাওয়ার পথে লামাহাটা, পাহাড়ি জনপদ লেপচা জগৎ, ঋষিখোলা, কার্শিয়াংয়ের মংপু বা কালিম্পংয়ের পেডং-এ বা ভিড় বেড়েছে আগের চেয়ে অনেকটাই। চারখোল, কোলাখাম বা সিটংয়ের চিত্রটাও প্রায় একই। এক্ষেত্রে চলতি মাসে ভিড় এমনটাই থাকবে বলে আশা পর্যটন ব্যবসায়ীদের।