তবে জানিয়ে দিলেন, শুধু মেয়ের কারণে তাঁরা ব্রিগেডে আসেননি, এসেছেন দলের কর্মসূচিতে অংশ নিতেই। কেন্দ্র ও রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে জেলার প্রত্যন্ত প্রান্তে দু’মাস ধরে হেঁটেছেন কুলটির চলবলপুরের বাসিন্দা মীনাক্ষী। সভা শেষে মা, বাবার সঙ্গে মঞ্চ থেকে নেমে কথা বলেন মীনাক্ষী। বলেন, ‘সাবধানে যেও।’ পাল্টা মা মেয়েকে বলেন, ‘সাবধানে থাকিস। কবে বাড়ি যাবি?’ মীনাক্ষী বলেন, ‘জানিয়ে দেবো। এখন তো বড় লড়াই হচ্ছে।’
বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানার একটি গ্রামের বছর ৩৬-এর মেয়ে যখন ব্রিগেডের মতো জনসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে ভাষণ দিচ্ছিলেন তখন বাবা, মায়ের অনুভূতি কেমন ছিল? জবাবে বাবা-মায়ের মন্তব্য, ‘আমরা ওকে শুধু এক জন মেয়ে মনে করি না। ও একা নয়, সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে লাল পতাকার নীচে কয়েক হাজার ছেলেমেয়ে অন্য, বস্ত্র, বাসস্থান, কাজের দাবি, ১০০ দিনের টাকার জন্য লড়াই করে চলেছে। ওদের ইনসাফ যাত্রা যে সফল তা আজকের সমাবেশ প্রমাণ করেছে।’
কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল ধর্ম, জাতির ভিত্তিতে ভাগ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে পারুল বলেন, ‘তার ভিত্তিতে আজকের ব্রিগেড সমাবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ সাগর জানাচ্ছেন, তাঁরা সীনাক্ষীর মা-বাবা হিসেবে ব্রিগেডে আসেননি। বলেন, ‘আমরা এসেছি এ রাজ্যের মেহনতি মানুষের লড়াইয়ে সামিল হতে। দুর্নীতি এবং সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কাজের দাবিতে সকলের সঙ্গে পা মিলিয়ে ব্রিগেডে পৌঁছেছি।’