এই সময়: দিনে চুরি হওয়া টোকেনের সংখ্যা গড়ে ৫০০-র বেশি। মাসের শেষে টোকেনের হিসেব করতে গিয়ে মাথায় হাত কলকাতা মেট্রোর কর্তাদের। প্রতি মাসে যদি ১৪-১৫ হাজার টোকেন চুরি হয়, তাহলে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় পাঁচ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। বহু চেষ্টাতেও মেট্রোর টোকেন চুরি ঠেকাতে না পেরে শেষ পর্যন্ত কাগজে কিউআর কোড ছাপা টিকিট চালু করার সিদ্ধান্ত নিলেন কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

টোকেনের পরিবর্তে এবার মেট্রোর বুকিং কাউন্টারে কিউআর কোড ছাপা কাগজের টিকিট। ব্যবস্থা নতুন নয়, গত অক্টোবরে কলকাতা মেট্রোর গ্রিনলাইন অর্থাৎ ইস্ট-ওয়েস্ট লাইনের শিয়ালদহ স্টেশনে এমন টিকিট চালু করা হয়েছিল। নতুন বছর শুরুতে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর করুণাময়ী এবং সেন্ট্রাল পার্ক মেট্রো স্টেশনের কাউন্টারে এমন টিকিট চালু করল সংস্থা।

আপাতত গ্রিন লাইন দিয়ে শুরু হলেও খুব তাড়াতাড়ি কলকাতা মেট্রোরেলের চালু সব ক’টি লাইনেই টোকেনের পরিবর্তে এমন টিকিট-ব্যবস্থা চালু করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থার কর্তাদের। বৈদ্যুতিন চিপ বসানো টোকেনের পরিবর্তে কিউআর কোড ছাপা কাগজের রক্ষণাবেক্ষণের খরচ নেই বললেই চলে। তবে শুধু রক্ষণাবেক্ষণ নয়, বৈদ্যুতিন টোকেনের পরিবর্তে কিউআর কোড ছাপা টিকিট বিক্রির নেপথ্যে কাজ করছে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণে টোকেন চুরির ঘটনাও।

কলকাতা মেট্রোয় টোকেন চুরি যে নিত্যদিনের ঘটনা—সেকথা স্বীকার করে সংস্থার মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলছেন, ‘ট্রেন-পিছু অন্তত দু’টি করে টোকেন খোয়া যায়। সেই হিসেবে বলা যায় দিনে ৫০০-৬০০ টোকেনের হিসেব মেলে না।’ স্মার্ট গেটে তো সব যাত্রীকেই টোকেন জমা দিতে হয়। জমা না দিলে গেট খুলবেই না। তাহলে কী করে টোকেন চুরি হয়!

Kolkata Bus Service : নতুন ৪০টি বাসে ঢেলে সাজছে জোকা টার্মিনাস
সংস্থার কর্মীদের একাংশ বলছেন, ‘কিছু যাত্রী দু’টি টোকেন কেনেন। তাঁরা জমা দেন একটি। অন্যটি ‘স্মারক’ হিসেবে সঙ্গে নিয়ে যান। বৈদ্যুতিন চিপ বসানো এই টোকেন এত বিপুল সংখ্যায় খোয়া যাওয়ার ফলে সংস্থাকে প্রতি মাসেই অনেক টাকা গাঁটগচ্চা দিতে হয়। কিউআর কোড টিকিট চালু হলে এই চুরি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে বলেই আশা করা হচ্ছে।

কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বলছেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব ব্লু-লাইনের কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর এবং পার্পল লাইনের জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত অংশে এমন টিকিটই বিক্রি করা হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version