একটি নামী সংস্থার দই থেকে বিষক্রিয়া ছড়ানোর আশঙ্কা। নির্দিষ্ট ব্যাচের দই নিষিদ্ধ করল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। জানা গিয়েছে, রায়না ও জামালপুরের দুটি অনুষ্ঠান বাড়িতে খাদ্যে বিষক্রিয়ার ঘটনায় বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিষক্রিয়ার কারণ জানতে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠান বাড়ির মেনুতে থাকা বিভিন্ন খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা সংগ্রহ করে মাইক্রোবায়োলজিক্যাল টেস্ট এর জন্য পাঠানো হয়। টেস্টে পাওয়া যায় একটি বহুজাতিক কোম্পানি ‘আমুল’ দই থেকে বিষক্রিয়া হয়েছে। ওই কোম্পানির দই খেয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এরপরেই ওই বহুজাতিক কোম্পানির নির্দিষ্ট ব্যাচের দইটি জেলা জুড়ে বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে।

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে জারিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে উক্ত ব্যাচের দই থেকে এই ধরনের বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তাই আপাতত জেলার ওই বহুজাতিক কোম্পানির বিভিন্ন যারা ডিস্ট্রিবিউটর আছেন এবং রিটেলার বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আছেন তাদের ওই বহুজাতিক কোম্পানির যে দই তার একটি নির্দিষ্ট ব্যাচ নাম্বার উল্লেখ করে ওই ব্যাচের দই আপাতত বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। বাঁকুড়ার ‘ইন্ডিয়ান ডেয়ারি প্রোডাক্টস লিমিটেডে’ তৈরি করা হয়েছিল। যার ব্র্যান্ড নেম ‘আমুল মিষ্টি দই’ ও ব্যাচ নম্বর ‘কেপিভি৩৬৫৩’।

Bardhaman News: তিন পুরুষ পর কন্যাসন্তান, মিষ্টি বিলিয়ে ব্যান্ডে বরণ
যদিও ডিস্ট্রিবিউটারদের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে বেশ কয়েকদিন ধরেই ব্যাচের ওই প্রোডাক্টের দই সাপ্লাই বন্ধ আছে জেলা জুড়ে। অন্যদিকে ক্রেতাদের পক্ষ থেকে যেটা বলা হচ্ছে, যে এখন সাধারণ মানুষ প্যাকেটজাত খাবার খেতেই অভ্যস্ত। তাই এই ধরনের ঘটনা তারা যথেষ্ট আতঙ্কিত কেন না প্যাকেটজাত খাবার অনেক ক্ষেত্রেই বাড়ির ছোট শিশু থেকে সকলেই খান। এবং এই ধরনের পরিস্থিতি যদি তৈরি হয় তাই শুধু ওই কোম্পানি নয়, সমস্ত ধরনের কোম্পানির প্যাকেটজাত খাবারে যাতে নজরদারি চালায় খাদ্য দফতর বা জেলা স্বাস্থ্য দফতর তার দাবি জানিয়েছেন সকলে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version