এই মামলায় খেত মজদুর সংগঠনের হয়ে লড়ছেন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘আমরা শ্রমিক, আমাদের পারিশ্রমিক নিয়ে কথা, আমরা কাজের আবেদন জানিয়েছি, কিন্তু কাজ পাইনি। কেন্দ্র বা রাজ্য কারা দায়িত্ব নেবে সেটা তারাই ভাবুক। তাদের দায়িত্ব শ্রমিকদের জন্য কাজ এবং উপযুক্ত পারিশ্রমিকের ব্যবস্থা করা।’ এক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম জানতে চান, ‘বর্তমান পরিস্থিতি কী? যতই দুর্নীতি বা যা কিছু থাক, যারা প্রকৃত অভাবী তাদের জন্য কী করা হয়েছে? কাউকে তো দায়িত্ব নিতে হবে!’
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে একটি কেন্দ্রের দল পৌঁছয় মালদা ও পাহাড়ে। সেই সময় টিমের প্রতিনিধিরা জানিয়েছিল, জব কার্ড নিয়ে সন্তুষ্ট নন তাঁরা। এরপর গতবছর কলকাতায় আসে ১৫টি টিম। সেই টিম ফিরে যাওয়ার পর রাজ্যের কাছ থেকে কিছু তথ্য চেয়ে পাঠায়। রাজ্যের তরফে সেগুলি পাঠিয়েও দেওয়া হয়। অভিযোগ, তারপরেও নতুন করে কোনও টাকা দেয়নি কেন্দ্র। একাধিকবার কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়েছে, যাতে নতুন করে এই প্রকল্প চালু করা হয়। নথিও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রকে।
এই প্রসঙ্গে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য হাইকোর্টের কাছে আবেদন করেন, জব কার্ড দুর্নীতির জন্য একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দেওয়া হোক, যারা এই বিষয়ে সম্পূর্ণ তদন্ত করবে। সমস্ত সওয়াল জবাব শোনার পর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়। সেক্ষেত্রে এবার আদালতের এই নির্দেশের পর কোন দিকে মোড় নেয় জব কার্ড দুর্নীতির তদন্ত। প্রসঙ্গত, জব কার্ড হোল্ডাররা টাকা পাচ্ছেন না বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠছে। যা নিয়ে দফায় দফায় সরগরম হয়েছে রাজনীতিও।