অয়ন ঘোষাল: শুক্রবার ইকোপার্কে(EcoPark) মর্নিংওয়াক (Morning Walk) করতে গিয়ে মমতার সংহতি মিছিল নিয়ে কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh)। শুধু সংহতি মিছিলই নয়, প্রসন্ন রায় ও আই এস এফের সভার অনুমতি নিয়ে মুখ খুললেন তিনি।
২১ ঘণ্টার তল্লাশি অভিযান শেষে শুক্রবার সকালে প্রসন্ন রায়ের অফিস থেকে বেরিয়েছে ইডি। রাতে প্রসন্ন রায়কে সঙ্গে নিয়ে প্রাইড প্লাজার অফিসে গিয়েছিল এজেন্সি। সঙ্গে ছিলেন প্রসন্ন রায়ের স্ত্রীও।৩টি ট্রলি ভর্তি নথি বাজেয়াপ্ত ইডির। প্রচুর ব্যাঙ্কের পাশবই বাজেয়াপ্ত। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আগে তার বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই আগের বার তিনি জামিন পেয়েছিলেন। কিন্তু ইডি মনে করছে আরও তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাবে। তাই ফের তদন্ত হচ্ছে। জাল এতো বড় যে কে যুক্ত আর কে নয়, অনেকে অজান্তে যুক্ত হয়ে পড়েছে। কে সুবিধা পেয়েছে কে পায়নি, এভাবেই বিশাল বিস্তার হয়েছে। তার কিনারা খোঁজার চেষ্টা চলছে’।
আরও পড়ুন- Bengal Weather: কমবে বৃষ্টি, দক্ষিণবঙ্গে ঘন কুয়াশার সতর্কবার্তা, তুষারপাত দার্জিলিঙে
২২ জানুয়ারি সংহতি মিছিলের ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আগে তৃণমূলের মধ্যে সংহতি করুন। সংহতির নামে হিন্দু বিরোধীদের এককাট্টা করার চেষ্টা হচ্ছে। আমার মনে হয়না কোনো হিন্দু এই সংহতি মিছিলে যাবে। যারা তৃণমূলের উচ্ছিষ্ট ভোগী, এই করেই খাচ্ছে আর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, এরকম কিছু লোক যাবে। আর যারা সিএএ পাস হওয়ার পর সারা বাংলায় আগুন জ্বালিয়ে ট্রেন বাস রেল জাতীয় সড়ক অচল করেছিল, সেই সমস্ত রাষ্ট্রবিরোধীদের নিয়ে এখানে রামের বিরুদ্ধে মিছিল হবে’।
ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে আই এস এফের সভার অনুমতি পাওয়া প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বলেন, ‘সবাইকে আদালতে যেতে হয়। কারণ এখানে সরকার বলে কিছু নেই। আমরা খুঁজে পাইনা সরকার কোথায় আছে। অনুমতি কে দেবে? পুলিশ কোথায়? টাকা তুলতে চাঁদা তুলতে আর ফুটবল খেলতে ব্যস্ত। প্রশাসন কে চালাবে? কোর্ট আছে। ভালো মন্দ যাই হোক কোর্টের কাছেই বিরোধীদের যেতে হয়। তৃণমূলের নেতা খুন হলেও পুলিশে ভরসা না রেখে কোর্টে যেতে হয়’।
আরও পড়ুন- Bengal News Live Update: ফের বড় কর্মসূচির ডাক সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের, শহরের ৩ প্রান্ত থেকে মিছিল
সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্যকে রাজধর্ম মনে করালো হাইকোর্ট, দাবি দিলীপের। তিনি বলেন, ‘আদালত বা রাজ্যপাল। এই দুটি স্তম্ভই এখন মানুষের ভরসা। সমস্যায় পড়লে মানুষ এখন আদালতে যায়। বা রাজ্যপালের কাছে যায়। কারণ আর কারুর কাছে আশা নেই। কেউ কানমলা দিচ্ছে। কেউ চিঠি লিখে রাজধর্ম মনে করিয়ে দিচ্ছে। সরকার ঘুমাতে চলে গেছে। বেহায়া নির্লজ্জ দের কিছু হয়না’।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)
কুকুরের বিবাহবার্ষিকী! দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘হেমন্ত বিশ্ব শর্মা একবার গল্প করছিলেন, কেন তিনি কংগ্রেস ছেড়েছেন। রাহুল গান্ধী একবার তাকে বাড়িতে খেতে ডেকেছিলেন। রাহুল আমাদের সঙ্গে খাননি। সামনে কুকুর বিস্কুট খাচ্ছিল। পশ্চিমবঙ্গে আগে জমিদারের বউ রা পুতুলের বিয়ে দিত। এখন কেউ কুকুরের ডায়ালিসিস করছে। কেউ বিবাহবার্ষিকী করছে। আপনার আমার টাকায় ভূতের শ্রাদ্ধ হচ্ছে। গরীব মানুষ কিছু পায়না। এরকম লোক, যারা দাপিয়ে বেড়ায়, তারাই ফুর্তি করে’।
ভুয়ো জব কার্ড ধরতে কমিটি গড়া প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘১৪ লক্ষ ৪২ হাজার ভুয়ো জব কার্ড। হয় মালিক নেই। অথবা যার নামে কার্ড তার হাতে কার্ড নেই। এই লোকের কাজের টাকা উঠছে। কিন্তু খেয়ে ফেলছে কে? কোথায় যাচ্ছে এই টাকা? এটাও তদন্ত করে বের করার দরকার আছে’।