এই বিষয়ে রাজ্যপাল অনুমতি দেন এবং তার পরেই অধিবেশন শেষ হয়। এই বছর প্রথম অধিবেশন হবে ৫ ফেব্রুয়ারি। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ভাষণ দিয়েই অধিবেশন শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু, সূত্রের খবর, আসন্ন বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাজ্যপালে ভাষণ চলতি বছর থাকবে না।
কোন যুক্তিতে হেঁটে রাজ্যপালের ভাষণ থাকছে না?
এই প্রসঙ্গে একটি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, গত বছর ডিসেম্বর মাসে অধিবেশন শেষ হয়। কিন্তু, অধিবেশনের শেষ দিন স্পিকার জানিয়েছিলেন, তা অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবি করা হল। স্পিকারের এই ঘোষণার পর পরবর্তী অধিবেশন শুরু করার জন্য নতুন করে রাজ্যপালের অনুমতির প্রয়োজন হয় না বলেই বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে জানা গিয়েছে। স্পিকারই এক্ষেত্রে অধিবেশন শুরু করতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত নতুন কিছু নয়। সম্প্রতি সন্দেশখালি ইস্যুতেও রাজ্যপাল প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছিলেন। পাশাপাশি উপাচার্য নিয়োগ থেকে শুরু করে বিধানসভায় বিল আটকে থাকা বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে উঠেছে।
একদিকে যখন রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে একাধিকবার সরব হতে দেখা গিয়েছে সি ভি আনন্দ বোসকে। সেই সময় পালটা রাজ্যের তৃণমূল নেতা মন্ত্রীরা ও আক্রমণ শানিয়েছিলেন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। রাজভবনকে বিজেপির পার্টি অফিস হিসেবে কাজে লাগানোর দাবিতে সরব হয়েছিল তৃণমূল। এই প্রথমবার নয়, সম্প্রতি সন্দেশখালির ঘটনার পরও রাজ্যের মুখ্য সচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে তলব করেছিলেন রাজ্যপাল।
স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য রাজ্যপাল সম্পর্ক দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে বিধানসভার অধিবেশন রাজ্যপালের ভাষণ ছাড়া শুরু হওয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এখন দেখার বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরুর দিনে কি সি ভি আনন্দ বোসের ভাষণ কি থাকবে? নাকি রাজ্যপালের ভাষণ ছাড়াই শুরু হবে অধিবেশন।