শীতে জুবুথুবু বাংলা। হু হু করে নামছে তাপমাত্রা। তার দোসর আবার বৃষ্টি। আর বৃহস্পতিবার বৃষ্টির পর থেকেই আরও শীতে কাবু গোটা বাংলা। আর প্রচন্ড এই শীতে সমস্যায় পড়েছে গড়চুমুকের মিনি জুয়ের পশুপাখিরা। তবে ইতিমধ্যে শীতের হাত থেকে পশু পাখিদের বাঁচাতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে গড়চুমুক মিনি জু।

মিনি জু কর্তৃপক্ষ্যের উদ্যোগে কোনও এনক্লোজারে দেওয়া হয়েছে খড় আবার কোনও এনক্লোজার গরম রাখতে বৈদ্যুতিন আলো জ্বালানো হয়েছে। বর্তমানে গড়চুমুক মিনি জুয়ে পাইথন, কুমির, বাঘরোল, হরিণ, ইমু ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখি নিয়ে আসা হয়েছে। আর শীতের এই দাপটে কিছুটা হলেও বেকায়দায় পড়েছে তারা। তাদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিল মিনি জু কর্তৃপক্ষ।

মিনি জু কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, চিকিৎসকের পরামর্শ মত সাপের এনক্লোজারে এবং পাখিদের খাঁচায় খড় রাখা হয়েছে। যাতে তারা খড়ের মধ্যে ঢুকে শরীরকে উষ্ণ রাখতে পারে। এর পাশাপাশি বাঘরোলের খাঁচাতেও খড় দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে প্রয়োজনমত ১০০/২০০ ওয়াটের বাল্ব ও জ্বালিয়ে রাখা হয়েছে। সূত্রের খবর, বেশ কিছু বাঘরোলের বাচ্চা হয়েছে। শীতে বাচ্চাদের সুস্থ রাখতে বাল্ব জ্বালিয়ে রাখা হচ্ছে।

নজরে রাখছে কর্তৃপক্ষও। গড়চুমুক জিওলজিক্যাল পার্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক মৈত্রী মণ্ডল বলেন, ‘আমরা পশু চিকিৎসকদের পরামর্শ মত প্রাণীদের সুস্থ ও সুরক্ষিত রাখার সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এনক্লোজারে খড় দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন খাচায় ব্লাল্ব জ্বালিয়ে রাখা হচ্ছে।’

Sundarbans : সুন্দরবনে শুরু পাখি উৎসব, দেশ-বিদেশের পক্ষীপ্রেমীদের ভিড়
গত ডিসেম্বর মাসেই মুখ্যমন্ত্রী মমমতা বন্দোপাধ্যায়ের উদ্বোধন করেন গড়চুমুক মিনি জু। ৯.১ হেক্টর জায়গা নিয়ে তৈরি হওয়া এই মিনি জুয়ের অন্যতম বৈশিষ্ট হল এখানে রাজ্য প্রাণী বাঘরোলের প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি করা হচ্ছে। পশু, পাখিদের এনক্লোজার তৈরীর পাশাপাশি সাধারন মানুষকে সচেতন করতে বোর্ড লাগানো হয়েছে।

চিড়িয়াখানায় রয়েছে ইন্ডিয়ান রক পাইথন, বদ্রি, সিলভার ফ্রেজেন্ট, জাভা, এমু, রাজহাঁস, কুমির, সরাল, টিয়া, কাকাতুয়া, ময়ূর সহ বিভিন্ন পাখি। রাজ্য প্রাণী বাঘরোল, সজারু, হরিণ, কচ্ছপের মত প্রাণী রয়েছে এখানে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version