ইতিমধ্যে শতাধিক বনকর্মী ও কুমির বিশেষজ্ঞরা সুন্দরবনের জঙ্গলের নদী ও খাঁড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন। বনকর্মীদের ২২টি দল সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গায় কুমির গণনার কাজ করছে। বুধবার থেকে এই কাজ শুরু হয়। কিন্তু খারাপ আবহাওয়া থাকায় বৃহস্পতিবার কাজ বন্ধ ছিল। শুক্রবার থেকে ফের গণনার কাজ শুরু হয়েছে। রবিবার মধ্যে গণনা শেষ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
গতবারের গণনায় বন দপ্তর ভারতীয় সুন্দবনের প্রায় ১১৩৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই শুমারি চালিয়েছিল৷ এ বারও সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকা (কোর জ়োন) এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভাগীয় বনাধিকারিকের (বাফার জ়োন) আওতাভুক্ত এলাকার পাশাপাশি বিস্তীর্ণ সুন্দরবনে শুমারির কাজ চলছে। তবে এ বার সমীক্ষায় বনকর্মীরা জানার চেষ্টা করবেন কোন এলাকায় কুমির থাকতে পছন্দ করে৷
সেই সব জায়গা চিহ্নিত করে ভবিষ্যতে মত্স্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হবে৷ একই সঙ্গে নদীর লবণাক্ততা, জলের উষ্ণতা ইত্যাদিও পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। অনেক সময়ে সুন্দরবনের নদী ও খাঁড়ি থেকে কুমির লোকালয়ের পুকুর কিংবা খালে গিয়ে ডিম পাড়ে৷ বনকর্মীরা নজরদারি চালিয়ে সেই সব ডিম সংগ্রহও করবেন।
উল্লেখ্য, প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে পাথরপ্রতিমার ভগবত্পুর কুমির প্রকল্প থেকে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী এবং খাঁড়িতে কুমির ছাড়া হয়। একটা সময় আশঙ্কা করা হয়েছিল, বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য জলজ প্রাণীর সংখ্যা কমে যেতে পারে৷ এ ছাড়া নদীতে দূষণ তো আছেই।
যন্ত্রচালিত নৌকা, ভুটভুটি, লঞ্চ, জাহাজের তেল মিশে যায় জলে৷ পাশাপাশি পর্যটকরা প্লাস্টিক, পলিথিন ইত্যাদি জলে ফেলেন৷ সর্বোপরি আয়লার পর ইয়াসের প্রভাবও পড়েছে সুন্দরবনে৷ ফলে এখন দেখার গণনাতে কুমিরের সংখ্যা কত দাঁড়ায়।