প্রবীণরা আরও জানাচ্ছেন, ১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ১৭ বার মামলা উঠেছে আদালতে। প্রতিবারই তাঁদের পক্ষেই রায় দিয়েছে আদালত। বিশিষ্ট বিচারপতি আলতামাস কবীর, মোহিতোষ মজুমদার – সহ ১৭ জন বিচারপতি এই মামলার বারংবার নিয়োগের পক্ষেই রায় দিয়েছেন বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।
এরপর ২০১৪ এবং ২০১৬ সালে ডিভিশন বেঞ্চে এক মামলায় বিচারপতি সৌমেন সেন হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানকে পেনাল্টি এবং স্কুল এডুকেশন কমিশনারকে ভর্ৎসনা পর্যন্ত করেন। তারপরেই তড়িঘড়ি আদালতের নির্দেশে নিয়োগের অর্ডার দেন হুগলি শিক্ষা সংসদের চেয়ার পার্সন।
এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিত শিক্ষক ও শিক্ষনপ্রাপ্ত কমিটির হগলি জেলার সম্পাদক কালীধন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘নিয়োগ পত্র দিয়েছে, আমরা কিছুদিন অপেক্ষা করব, তারপর বড়িষ্ঠ আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করব। এরা কোনও পদক্ষপ না করলে, আইনের আশ্রয় নেব আমরা। আমরা আমাদের ক্ষতিপূরণ চাইছি। আর শুধু ক্ষতিপূরণ দিলেই হবে না, আমাদের পেনশনও দিতে হবে। আমাদের সকলের ৬০ পেরিয়ে গিয়েছে। এটাই আমাদের প্রধান দাবি।’
আদতে কৃষক পরিবারের সদস্য কালীধন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পিঠে ওষুধের বোঝা নিয়ে যদি আমার জমিতে ওষুধ দিতে পারি, তাহলে স্কুলে গিয়ে পড়াতে পারবো না এটা তো নয়! আমরা চাষি, আমরা পিঠে বোঝা নিয়ে জমিতে ওষুধ দিই। মনের জোরটা এখনও আছে।’ অন্যদিকে পূর্বতন বাম সরকারের সময়ও শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করতে শোনা যায় তাঁকে। প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন আগে হুগলিতে ষাটোর্ধ্ব ৬২ জনকে প্রাথমিকের নিয়োগপত্র দেওয়ার ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় গোটা রাজ্যের শিক্ষামহলে। এমনকী এমন আরও ৪ জনের নামে নিয়োগপত্র আসে, যাঁদের ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে। এবার সেই নিয়োগপত্র প্রাপক প্রবীণরাই নিজেদের ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা শুরু করলেন।