এই সময়, আসানসোল: পশ্চিম বর্ধমানের রিফ্যাক্টরিগুলোকে পুষ্ট করার বার্তা দিল ইস্কো। শুক্রবার সালানপুরের এথোরার রিফ্যাক্টরি ক্লাস্টার ঘুরে দেখেন ইস্কোর এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর ও চিফ জেনারেল ম্যানেজার পর্যায়ের আধিকারিকরা। ক্লাস্টারের ৪০টি ইউনিট ঘুরে দেখেন তাঁরা। রিফ্যাক্টরি কারখানাগুলো ইস্কোর অর্ডার না পাওয়ার অভিযোগ করে। অর্ডার ও অন্যান্য সহযোগিতা কী ভাবে করা যায় তা সমাধানের আশ্বাস দেন ইস্কো কর্তারা।

১২ কোটি টাকায় কেন্দ্র ও রাজ্যের উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল বঙ্গলক্ষ্মী রিফ্যাক্টরি ক্লাস্টার অ্যাসোসিয়েশন। ক্লাস্টারের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে অ্যাসোসিয়েশনের তরফে তুষার উপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের রিফ্যাক্টরি কারখানাগুলোয় যে কাঁচামালের দরকার পড়ত তা এত দিন মধ্যপ্রদেশের মতো ভিন রাজ্য থেকে আনা হতো। এখন তা এখানেই তৈরি হচ্ছে। ক্লাস্টারের ৪০টি কারখানা এই মুহূর্তে ৫০ থেকে ৬০ টন কাঁচামাল নিয়ে আধুনিক জিনিসপত্র তৈরি করছে। ওই সামগ্রী মূলত বিভিন্ন লোহা, ইস্পাত কারখানায় প্রয়োজন পড়ে। বর্তমানে এখানে ৭০ জন কর্মী ওই কাঁচামাল তৈরির কাজ করছে।’

এর ফলে তাঁদের আর ভিন রাজ্য থেকে বেশি দামে কাঁচামাল আনতে হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এতে পরিবহণ খরচও অনেক কমে যাবে। এখানে আধুনিক পরীক্ষাগারও তৈরি করা হয়েছে যা রিফ্যাক্টরির ক্ষেত্রে আমাদের রাজ্যে আর কোথাও নেই।’

রাজ্য রিফ্যাক্টরি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অশোক চক্রবর্তী জানাচ্ছেন, শুধু ৪০টি নয়, পশ্চিম বর্ধমানের মোট ১০০টি রিফ্যাক্টরি সংস্থা এই ক্লাস্টারের উৎপাদিত জিনিস থেকে লাভবান হবে। সব মিলিয়ে রিফ্যাক্টরিগুলোয় প্রায় ১০ হাজার কর্মী কাজ করেন। ইস্কো থেকে সরাসরি অর্ডার পেলে কর্মী সংখ্যা আরও বাড়বে। সালানপুরের এই ক্লাস্টার দেখে ইস্কোর আধিকারিকরা সন্তুষ্ট।’

এদিন সালানপুরের ওই ক্লাস্টার ভিজিটে আসেন ইস্কোর এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর, মেটিরিয়াল ও পারচেস বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার ও সহকারী ম্যানেজাররা। ইস্কোর এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর অভিজিৎ দে বলেন, ‘এই সব কারখানার প্রতিনিধিদের অভিযোগ শুনেছি। আমরা পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে ওদের বুঝিয়েছি কী ভাবে আবেদন করতে হবে। আমাদের চাহিদা মূলত কী?’

Burdwan Railway Station Accident : ফের দুর্ঘটনা বর্ধমান স্টেশনে, ভেঙে পড়ল অফিসের চাঙড়
বছরে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার রিফ্যাক্টরি আইটেম ইস্কো কিনে থাকে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এদের উৎপাদিত আইটেমগুলোর মান যদি সঠিক হয় তাহলে অবশ্যই এখানকার শিল্পের অগ্রগতি ঘটবে। এখানে গবেষণাগার বেশ উন্নতমানের দেখলাম। আমরা ওঁদের বলেছি, মহিলা বা তপশিলি জাতি, উপজাতিদের রিফ্যাক্টরি কারখানার মালিকানা থাকলে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাবেন। আমাদের ফোন নম্বর ওঁদের দিলাম। সরাসরি ফোনে বা অনলাইনে ওঁরা যোগাযোগ করতে পারবেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version