গাড়িতে ‘পুলিশ’ লাগানো বোর্ড। সেই গাড়ি থেকেই কয়েকজন নেমে কিডন্যাপ করার চেষ্টা করল এক যুবককে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হরিদেবপুরের একটি পাবের সামনে। সেখানে রাত ১০টা নাগাদ একটি গাড়ি এসে থামে। সেই সময় ওই পাব থেকে বার হচ্ছিলেন যুবক। তখনই তাঁকে বন্দুক দেখিয়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযান চালিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম নীতিন শাহ। তিনি আজাদগড়ের বাসিন্দা এবং পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তিনি শুক্রবার হরিদেবপুরের একটি বারে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেখানেই তাঁকে জোর করে গাড়িতে তুলে নেন দুষ্কৃতীরা। সেই গাড়িটিতে ব্যবহার করা হয় পুলিশের স্টিকারও। স্থানীয়রা ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশে খবর দেয়। তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছন হরিদেবপুর থানার ওসি। তাঁর নেতৃত্বে পুলিশের বিশেষ দল অভিযান চালায়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ওই গাড়িটির সন্ধান পায় পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে অপহৃত ওই যুবককে।

এই গোটা ঘটনাটি রেকর্ড করা হয়েছিল CCTV ক্যামেরাতে। সেখানেই দেখা যায় নীতিনকে জোর করে গাড়িতে তোলা হচ্ছে। সেই সময় তাঁর বন্ধুরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি বিশেষ। এরপরেই তাঁরা পুলিশে খবর দেয়। তড়িঘড়ি তৎপর হয় পুলিশ। নির্দিষ্ট টিম গঠন করে গাড়িটির খোঁজ করা শুরু হয় এবং হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় দুষ্কৃতীদের।

ইতিমধ্যেই ওই গাড়িটিতে থাকা ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, অপহরণের পর ওই যুবকের থেকে ২০ লাখ টাকা চায় দুষ্কৃতীরা। গ্রেফতার করা হয়েছে বিপ্লব পাত্র, অশোক মাঝি এবং অরুণাংশু দাস নাম তিনজনকে।

ঠিক কী কারণে নীতিনকে টার্গেট করা হল? এই পুরো ঘটনা কি পূর্বপরিকল্পিত ছিল? তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটির প্রেক্ষিতে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কে বা কারা এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে, পরিকল্পনার ক্ষেত্রে অন্য কোনও ব্যক্তির হাত রয়েছে কিনা, সেই বিষয়টিও রয়েছে গোয়েন্দাদের আতশ কাচের নীচে।

Hooghly News : মোবাইল চুরি করে প্রেমিকাকে গিফট, পুলিশ হেফাজতে হুগলির যুবক
প্রসঙ্গত, শহরের বারগুলির সামনে উৎসবের মরশুমে অতিরিক্ত নজরদারি চালানো হয় কলকাতা পুলিশের তরফে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে এবং যাবতীয় নিয়ম মেনে চলা হয়, সেই দিকেও দেওয়া হয় বিশেষ নজর। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে CCTV ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version