রাজ্যে ২ লাখ ২৯ হাজার কোটি টাকা খরচের হিসেবে গরমিলের অভিযোগ ওঠে। কেন্দ্র থেকে পাওয়া এই টাকার সঠিক হিসাব নেই বলে অভিযোগ। পুর ও নগরোন্নয়ন, শিক্ষা এবং পঞ্চায়েত দফতরের হিসাবে গরমিলের অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। CBI তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। অভিযোগ ওঠে ২ লাখ ২৯ হাজার কোটি টাকা খরচের কোনও ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট নেই। CAG রিপোর্টকে সামনে রেখে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।
এদিকে মঙ্গলবার CAG রিপোর্ট নিয়ে বিধানসভায় আলোচনার দাবি করে BJP। যদিও তা খারিজ করে দেন স্পিকার। এই নিয়ে রীতিমতো উত্তাল হয়েছিল বিধানসভা। এদিন বিরোধীরা CAG রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার দাবিতে মুলতুবি প্রস্তাব দেন। কিন্তু, তা খারিজ হয়ে যায়। এরপর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ওয়াক আউট করেন বিরোধীরা।
উল্লেখ্য, BJP-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছিলেন, রাজ্যের হিসাব নিয়ে কেন্দ্র যে CAG রিপোর্ট পাঠিয়েছে সেখানে গরমিল রয়েছে। আর সুকান্ত মজুমদারের এই দাবিকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনৈতিক মহল। সেই আঁচ গিয়ে পড়েছে বিধানসভাতেও।
শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, ‘ক্যাগের রিপোর্টে ছত্রে ছত্রে দুর্নীতির তথ্য, কয়েকশো ভুয়ো অ্যাকাউন্টের তথ্য। ভয়ংকর তথ্য রয়েছে। ক্যাগ রিপোর্টের কথা শুনলেই শাসক দল লাফাচ্ছে।’ এদিন অধ্যক্ষ স্পষ্ট জানান, এই নিয়ে আলোচনা করা যাবে না। এই নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা করার দরকার নেই।
পালটা সরব হয়েছেন শশী পাঁজাও। তিনি বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী গতকাল দিল্লিতে গিয়ে ধমকানি চমকানি দিয়েছেন। বিভিন্ন নেতার সঙ্গে দেখা করেছেন, বিভিন্ন দফতরে গিয়েছেন। কী বিষয়ে আলোচনা করেছেন বলছেন না। কিন্তু, বলছেন আগামী দিনে বাংলা দেখবে কী হবে। এর অর্থ ED-CBI পরিচালনা করা হবে সেটা বলা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১ লাখ মানুষকে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেবেন বলেছেন তাই বিজেপি বদলার রাজনীতি শুরু করেছে।’