‘মেয়ে বাথরুমে গিয়েছিল, এসব কিছু জানে না’, এবার মুখ খুললেন মাধ্যমিকে প্রশ্নপত্র ফাঁসে অভিযুক্ত ছাত্রীর বাবা। শুধু তাই নয়, তিনি আইনি পদক্ষেপেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। মাধ্যমিকে প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে পর্ষদের তরফে নেওয়া হয়েছে নয়া পদক্ষেপ। এবার বিশেষ একটি কোড ব্যবহার করা হয়েছে প্রশ্নে। এদিকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বাংলা ও ইংরেজি প্রশ্নপত্র পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর কিউ আর কোড ব্যবহার করে এনায়েতপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের একাধিক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এই ছাত্রীরা সকলেই গোপালপুর হাই স্কুলের পড়ুয়া। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় তাঁদের আসন পড়েছিল এনায়েতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। ঘটনায় মানিকচক ব্লকের এনায়েতপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা মানিকচক ব্লকের মাধ্যমিক পরীক্ষা ব্যবস্থা সেন্টারের সেক্রেটারি মহম্মদ বাদিউজ জামান জানান, ফোনে ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় কয়েকজন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে। সেই মোতাবেক পদক্ষেপ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিন জন ছাত্রী ছিল।’

এদিকে ‘এই সময় ডিজিটাল’-এ প্রথমবার মুখ খুলেছেন প্রশ্নপত্র ফাঁসে অভিযুক্ত এক ছাত্রীর বাবা মোহাম্মদ ফরিজ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘ইংরেজি পরীক্ষা দিয়ে মেয়ে হাসিখুশি বাড়ি গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে মেয়ে কিছু জানে না। পরীক্ষা দিতে দিতেই মেয়েকে হেড মাস্টারের রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ওর অ্যাডমিটে সই করিয়ে নেওয়া হয়। বলা হয় যে ও পরীক্ষা দিতে পারবে না।’

Madhyamik Exam: মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষাতেও প্রশ্ন ফাঁস! কিউ আর কোড কেটেও ধরা পড়ল ৬ পরীক্ষার্থী
তাঁর কথায়,’আমার মেয়ে জিজ্ঞাসা করছে কেন পরীক্ষা দিতে পারব না! তখন ওকে বলা হয় ওর কাছ থেকে নাকি প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। কী ভাবে তা ফাঁস হয়েছে প্রশ্ন এখন সেটাই। আমার মেয়ে মাঝে বাথরুমে গিয়েছিল। ৫ মিনিট হোক বা ২ মিনিট। কার মোবাইল থেকে তা ফাঁস হয়েছে তা না জেনে অযথা আমার মেয়েকে শাস্তি দিল। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আদালতের দ্বারস্থ হব।’

তিনি আরও দাবি করেছেন, ‘আমার মেয়েকে পড়াতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। এখানে আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবস্থা করা হয়েছে। গোপালপুর হাইস্কুলে পড়ে ও।’ প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘এর নেপথ্য়ে বিরাট ষড়যন্ত্র করছে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। পরীক্ষার্থীদের কাজে লাগাচ্ছে তারা। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে পর্ষদকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করতে শুরু করেছে। শীঘ্রই এই কারবারিরা ধরা পড়বে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version