রাজ্য বাজেট পেশের পরেই এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে
বলেন, ‘লোকসভা ভোটে হেরে যাওয়ার আতঙ্ক কাজ করছে। ৩ লাখ ৬৬ হাজার ১১৬কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও টাকা কোথা থেকে আসবে, রাজস্বের কী অবস্থা সেটা উল্লেখ নেই। এই বাজেট ভোটের প্রচার ছাড়া অন্য কিছু নয়।’ রাজ্য সরকার যে আগামী লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই বাজেটে একের পর এক ‘চমক’’ দিয়েছে, সেটা স্পষ্ট করেন বিজেপি বিধায়ক। তাঁর কথায়, ‘রাজ্যের অর্থনীতির বারোটা বাজুক, ক্ষমতায় টিকে থাকার প্রচেষ্টা ছাড়া অন্য কিছু নয়।’
বাজেটের অন্যতম আকর্ষণীয় ঘোষণা ছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ভাতার পরিমাণ বাড়ানো। শুভেন্দু এর সমালোচনা করে বলেন, ‘আসামে মহিলাদের ২৫০০ হাজার টাকা দেওয়া হয়, লাডলি বেহেন প্রকল্পে ১৫০০ পরিবর্তে এখন ৩০০০ হাজার টাকা, সেখানে ৫০০ টাকা বাড়ানো হল, এটা মহিলাদের সম্মান, মর্যাদার ক্ষেত্রে কিছুই নয়। আমি মনে করি, এসসি, এসটি মহিলাদের ২০০ টাকা বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে এই মহিলাদের প্রতি নেগেটিভ মানসিকতা আছে সরকারের।’’
পাশাপাশি, এই বাজেটে রাজ্যের সংখ্যালঘু এবং অনগ্রসর শ্রেণির জন্যেও বিশেষ কিছু বরাদ্দ বা ঘোষণা করা হয়নি বলেও মনে করিয়ে দেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর বক্তব্য, ‘সংখ্যালঘুদের জন্য কোনও বরাদ্দ হয়নি। এক টাকাও বরাদ্দ করা হয়নি। কর্মসংস্থান, স্কলারশিপের জন্য কিছু ঘোষণা করা হয়নি। তাঁদেরকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন।’
চা শ্রমিকদের পাট্টা প্রদান, অস্থায়ী গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি, সিভিক-গ্রিন পুলিশদের ভাতা বৃদ্ধি নিয়েও ইডি। কটাক্ষ করতে ছাড়েনি শুভেন্দু। এদিন রাজ্য সরকার ফের ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছে। তবে শুভেন্দু জানান, ‘ভোট নিতে হবে, তাই ডিএ ঘোষণা। মিথ্যাচার, রাজ্যের মানুষকে টুপি পরিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট কেনার জন্য এই বাজেট পেশ করা হয়েছে।’ সার্বিকভাবে, রাজ্যে নতুন কর্মংস্থান, শিল্পের পরিবেশ সৃষ্টি, নতুন শিল্পের ঘোষণা হয়নি, যা থেকে এটা স্পষ্ট যে এই বাজেট সম্পূর্ণ দিশাহীন বলে দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী।